বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে নতুনভাবে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যিক শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে এক ডজনেরও বেশি দেশের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্পের নতুন এই বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে ১৪টি দেশ, যার মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মার্কিন মিত্ররাও রয়েছে।
আগামী ১ আগস্ট থেকে এসব দেশের ওপর ২৫ থেকে ৪০% শুল্ক আরোপ করা হবে—যদি না তারা মার্কিন রফতানি বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াতে সম্মত হয়।
সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের কাছে প্রেরিত চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে শর্ত হলো ‘আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্য’।
ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে কোনো প্রতিশোধমূলক শুল্কের জবাবে আরও উচ্চহারে শুল্ক দেয়া হবে। তবে যেসব দেশ বাণিজ্য বাধা কমাবে, তাদের জন্য শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার দেশ যদি এখন পর্যন্ত বন্ধ বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশাধিকার দেয়, শুল্ক বাধা দূর করে, তাহলে আমরা এই শুল্ক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’
কোন দেশের ওপর কত শুল্ক:
৪০% শুল্ক: লাওস ও মিয়ানমার
৩৬% শুল্ক: কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড
৩৫% শুল্ক: সার্বিয়া ও বাংলাদেশ
৩২% শুল্ক: ইন্দোনেশিয়া
৩০% শুল্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা
২৫% শুল্ক: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান ও তিউনিসিয়া
এসব দেশের অনেকেরই অর্থনীতি রফতানি নির্ভর এবং পূর্বে তারা ১০% শুল্কের আওতায় ছিল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এই শুল্ককে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করলেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া আগস্টের মধ্যে ‘পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান’ খুঁজতে আলোচনা ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চীন, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাজ্যের সাথে চুক্তি হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও কয়েকটি চুক্তির ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প এই সপ্তাহে আরও চিঠি পাঠাবেন।