ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইরানের বিরুদ্ধে ফের শক্ত হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo ‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন Logo ডিসেম্বরে শেষ হবে গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তদের বিচার: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বিএনপি: ফখরুল Logo বাড়ির দখল নিতে গিয়ে বাবার ওপর বর্বর হামলা, গুরুতর আহত বৃদ্ধ Logo উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের ‘ডিয়ার মা’, ভাঙলো এক রেকর্ড Logo ফরিদপুরে র‍্যাব সেজে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেফতার ৫ দুর্বৃত্ত Logo জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ভয়াবহ পরিণতি আসবে: হুঁশিয়ারি ইসরায়েল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজায় শিশুদের অনাহার চললে ইসরায়েলকে সহায়তা নয়: মার্কিন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং Logo গাজায় ত্রাণ পাঠাতে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ জার্মানি-স্পেনের

মাঝরাতে পাশ ওয়াকফ বিল! এই বিল আসলে কী? আগে কী ছিল, এখন কী হবে? বিরোধিতাই বা কেন! সহজে জানুন পুরোটা

নিজস্ব সংবাদ :

লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

 

 

বুধবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ করেছিলেন লোকসভায়। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পর অবশেষে তা পাশ হয়ে গেল। বিলের পক্ষে ভোট দেন ২৮৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩২।

 

 

লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, নতুন আইন হলে ওয়াকফ নিয়ে দুর্নীতি দূর হবে। দেশের মুসলিমরাই আসলে উপকৃত হবেন।

 

 

কিন্তু কী এই ওয়াকফ? আসলে মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। আর ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।

 

 

বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা সম্পত্তি বা জমিতে কোনও রকম সরকারি পর্যালোচনা করা যায় না। পর্যালোচনা ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড জমি দখল করতে পারে। কোনও সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ওয়াকফ বোর্ডের আইনি বিবাদ চললেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার।

 

 

সরকার এই আইনেই মূলত বদল আনছে। বিতর্কিত কোনও সম্পত্তির মালিকানা আদতে কার, তাও খতিয়ে দেখার আইনি এক্তিয়ার সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাইছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার থাকবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।

 

 

আসলে ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল, সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। পুরনো আইনেই তা বলা রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে।

 

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
১১৭ বার পড়া হয়েছে

মাঝরাতে পাশ ওয়াকফ বিল! এই বিল আসলে কী? আগে কী ছিল, এখন কী হবে? বিরোধিতাই বা কেন! সহজে জানুন পুরোটা

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

 

 

বুধবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ করেছিলেন লোকসভায়। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পর অবশেষে তা পাশ হয়ে গেল। বিলের পক্ষে ভোট দেন ২৮৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩২।

 

 

লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, নতুন আইন হলে ওয়াকফ নিয়ে দুর্নীতি দূর হবে। দেশের মুসলিমরাই আসলে উপকৃত হবেন।

 

 

কিন্তু কী এই ওয়াকফ? আসলে মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। আর ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।

 

 

বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা সম্পত্তি বা জমিতে কোনও রকম সরকারি পর্যালোচনা করা যায় না। পর্যালোচনা ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড জমি দখল করতে পারে। কোনও সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ওয়াকফ বোর্ডের আইনি বিবাদ চললেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার।

 

 

সরকার এই আইনেই মূলত বদল আনছে। বিতর্কিত কোনও সম্পত্তির মালিকানা আদতে কার, তাও খতিয়ে দেখার আইনি এক্তিয়ার সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাইছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার থাকবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।

 

 

আসলে ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল, সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। পুরনো আইনেই তা বলা রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে।