ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ৬ জন প্রকৌশলী ও স্থপতিকে বরখাস্ত Logo রাশিয়ার ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ডকৃত ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত Logo শুধু নির্বাচিত সরকারেরই সংস্কারের অধিকার রয়েছে: ড. মঈন খান Logo রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জন গ্রেফতার, দায়ের ৩৩টি মামলা Logo সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়মের অভিযোগে বড় অঙ্কের জরিমানা Logo ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষায় বিএনপি, নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জামায়াত Logo ইরানের বিরুদ্ধে ফের শক্ত হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo ‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন Logo ডিসেম্বরে শেষ হবে গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তদের বিচার: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বিএনপি: ফখরুল

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে কেন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ?

নিজস্ব সংবাদ :

মার্কিন সরকারের উচ্চ শুল্ক নির্ধারণে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্কের কারণে হারাতে হবে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। গেলো এপ্রিল মাসে শুল্কারোপের পর তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সময় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলে আলোচনা। তাতে সুফলও পেয়েছে কয়েকটি দেশ। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে পণ্য রফতানি করে আসছে বাংলাদেশ। তবে গেল এপ্রিল মাসে আরও ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক চাপায় যুক্তরাষ্ট্র। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লেখে অন্তবর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিতের পর মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলে আলোচনা করে গত সোমবার আবার শুল্কহার চূড়ান্ত করে প্রকাশ করেছে ডোনাল ট্রাম্প। বাংলাদেশের জন্য নতুন হার হবে ৩৫ শতাংশ।

এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, স্বার্থগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে আলোচনা করছে সরকার। শুল্ক কমানো না গেলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাক খাত।

বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, যেসব কারখানা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ খালি যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে তাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ। আর অন্যদের অবস্থাও ভালো থাকবে না, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের বাজার যদি সংকুচিত হয়ে যায়, তখন যাদের দুই-তিন মাস টিকে থাকার সক্ষমতা আছে তারা ভিন দেশের বাজারে যাবে। তখন যে প্রতিযোগিতা হবে তাতে দাম কমে যাবে। শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ হলে সেটা হবে আমাদের জন্য সহনীয়। এর চেয়ে বেশি হলে সেটা নিয়ে টিকে থাকা কোনও কোনও ক্ষেত্রে কঠিন হবে।

এদিকে, মার্কিন পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করতে বাজেটে শুল্কছাড় দিয়েছে সরকার। দাবি করা হয়, মার্কিন বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে গেছে সরকার। তবে ফলাফল হতাশাজনক।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ট্রাম প্রশাসনের পলিসি যদি আমরা না জানতে পারি কীসের ভিত্তিতে তাহলে লবিস্ট নিয়োগ করবো? আমাদের মধ্য থেকেও মানে বিজনেস কমিউনিটি থেকে এক দুইজনকে আস্থায় আনা উচিত। তাদেরকে এনে আমরা যেন আরও ভালো দর কষাকষি করা যায়। এখন এটা সরকারের বিষয়। সরকার যদি মনে করে যে না উনারা পারবে তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নাই। আমরা চাই ভালো ফলাফল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রফতানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেছেন, তাদের স্বার্থ হাসিলে আমরা কি অনেক বড় সহায়ক যে তারা আমাদেরকে অগ্রাধিকার দেবে? এখন এগুলো রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার, যাতে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি।

 

 

উল্লেখ্য, জুলাই মাসজুড়েই থাকবে আলোচনার সুযোগ। এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
৩৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে কেন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ?

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

মার্কিন সরকারের উচ্চ শুল্ক নির্ধারণে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্কের কারণে হারাতে হবে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। গেলো এপ্রিল মাসে শুল্কারোপের পর তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সময় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলে আলোচনা। তাতে সুফলও পেয়েছে কয়েকটি দেশ। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে পণ্য রফতানি করে আসছে বাংলাদেশ। তবে গেল এপ্রিল মাসে আরও ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক চাপায় যুক্তরাষ্ট্র। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লেখে অন্তবর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিতের পর মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলে আলোচনা করে গত সোমবার আবার শুল্কহার চূড়ান্ত করে প্রকাশ করেছে ডোনাল ট্রাম্প। বাংলাদেশের জন্য নতুন হার হবে ৩৫ শতাংশ।

এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, স্বার্থগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে আলোচনা করছে সরকার। শুল্ক কমানো না গেলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাক খাত।

বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, যেসব কারখানা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ খালি যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে তাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ। আর অন্যদের অবস্থাও ভালো থাকবে না, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের বাজার যদি সংকুচিত হয়ে যায়, তখন যাদের দুই-তিন মাস টিকে থাকার সক্ষমতা আছে তারা ভিন দেশের বাজারে যাবে। তখন যে প্রতিযোগিতা হবে তাতে দাম কমে যাবে। শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ হলে সেটা হবে আমাদের জন্য সহনীয়। এর চেয়ে বেশি হলে সেটা নিয়ে টিকে থাকা কোনও কোনও ক্ষেত্রে কঠিন হবে।

এদিকে, মার্কিন পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করতে বাজেটে শুল্কছাড় দিয়েছে সরকার। দাবি করা হয়, মার্কিন বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে গেছে সরকার। তবে ফলাফল হতাশাজনক।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ট্রাম প্রশাসনের পলিসি যদি আমরা না জানতে পারি কীসের ভিত্তিতে তাহলে লবিস্ট নিয়োগ করবো? আমাদের মধ্য থেকেও মানে বিজনেস কমিউনিটি থেকে এক দুইজনকে আস্থায় আনা উচিত। তাদেরকে এনে আমরা যেন আরও ভালো দর কষাকষি করা যায়। এখন এটা সরকারের বিষয়। সরকার যদি মনে করে যে না উনারা পারবে তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নাই। আমরা চাই ভালো ফলাফল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রফতানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেছেন, তাদের স্বার্থ হাসিলে আমরা কি অনেক বড় সহায়ক যে তারা আমাদেরকে অগ্রাধিকার দেবে? এখন এগুলো রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার, যাতে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি।

 

 

উল্লেখ্য, জুলাই মাসজুড়েই থাকবে আলোচনার সুযোগ। এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।