ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, অভিযোগ জার্মানির
নিজস্ব সংবাদ :
ছবি সংগৃহীত
ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প, অভিযোগ জার্মানির।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউরোপের সব দেশকে এক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ, গ্রিনল্যান্ড দখল কিংবা কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রসারণ নীতি বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে অঞ্চলগুলোর বাসিন্দারা। এরইমধ্যে গ্রিনল্যান্ড হস্তান্তরে ট্রাম্পের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।
ট্রাম্পের এ ধরনের আচরণ ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জার্মানির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে আলাদাভাবে দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে ইউরোপীয় ঐক্যকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ হ্যাবেকের।
বলেন, আবারও সেই প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন ট্রাম্প। এ অবস্থায় ইউরোপের সব দেশকে এক থাকার আহ্বান জানান জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর।
এর আগে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি প্রত্যাহার না করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে জার্মানি। এ বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তা খুব ছোট বা খুব শক্তিশালী দেশই হোক না কেন। তিনি আরও বলেন, জার্মানিকে রক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হাতিয়ার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং আটলান্টিক মহাসাগর উপকূলীয় দেশগুলোর সম্পর্ক।
গত মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ড নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আর্কটিক দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জবাবে ড্যানিশ প্রশাসন জানায়, গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এ স্বপ্ন কখনোই বাস্তবে রূপ নেয়া সম্ভব নয়। তবে গ্রিনল্যান্ড কখনো স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে দেশটির জনগণই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।