শেষ মুহূর্তে বাসার আল আসাদকে বাঁচাতে বিমান পাঠিয়েছিল ইরান— দাবি নেতানিয়াহুর
পতনের আগে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিলো মিত্র ইরান। আর সেই বিমান রুঁখে দিয়েছিল ইসরায়েল। এমন দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।
রোববার, দেশটির জেরুজালেমে এক কনফারেন্সে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু। এসময় কথা বলেন ইরান-সিরিয়া প্রসঙ্গে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ভোরবেলা দামেস্কে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চলা আল-আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান ঘটে।
সেই ঘটনা প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু জানান, বিদ্রোহীরা যখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই বাশার আল আসাদকে উদ্ধারে একাধিক উড়োজাহাজ পাঠায় তেহরান। যা বেশ কয়েকটি এফ-সিক্সটিন ফাইটার জেট পাঠিয়ে মাঝ আকাশেই রুখে দেয় তেলআবিব। ফলে, দামেস্কে অবতরণ করতে না পেরে ফিরে যায় ইরানি আকাশযানগুলো।
এরপর, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রুশ ঘাঁটি থেকে মস্কো পালিয়ে যান বাশার আল আসাদ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিপরীতে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান।
কনফারেন্সে এসময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, আমরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নেই- এটা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ইরানি অস্ত্র যেন কোনোভাবেই হিজবুল্লাহ না পায় সেটা নিশ্চিত করবো।