স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেল ইরানি হামলায় কাতারের মার্কিন ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি
প্রায় একমাস পর প্রকাশ্যে এলো ইরানের হামলায় কাতারে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। বিভিন্ন স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠানের ছবি বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘আল উদেইদ’ মার্কিন বিমান ঘাঁটির একটি অত্যাধুনিক জিওডেসিক ডোম। যার প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। যদিও এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি পেন্টাগন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের বিশ্লেষণ করা ছবিতে দেখা গেছে, ইরানের হামলা মার্কিনিদের নিরাপদ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত একটি ‘জিওডেসিক গম্বুজ’ আবাসন সরঞ্জামকে আঘাত করেছে।
গেলো জুন মাসে কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৯টি মিসাইল ছুঁড়ে ইরান। তেহরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সেসময় দাবি করেছিলো পেন্টাগন। তবে হামলার প্রায় এক মাস পর প্ল্যানেট ল্যাব পিবিসি’সহ অন্যান্য স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠানগুলোর ছবিতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্যাটেলাইট ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাতারের আল উদেইদ মার্কিন বিমান ঘাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা। বলা হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক জিওডেসিক ডোমের ভেতরে স্থাপিত বিভিন্ন কমিউনিকেশন ডিভাইস দিয়ে গোপনে তথ্য আদান- প্রদান করতো মার্কিন সেনারা। হামলার আগের ও পরের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করলে জিওডেসিক ডোমে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট।
ইরান যে আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা করবে তা নাকি আগে থেকেই জানতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই জানা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে কেন ব্যর্থ হলো কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পেন্টাগন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি। যা কাজ করে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড-সেন্টকমের হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে। ১৯৯৬ সালে ৬০ একর এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয় ঘাঁটিটি। ১০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে সেখানে। থাকতে পারে ১০০টি এয়ারক্রাফট। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তান মার্কিন অভিযানের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল আল উদেইদ বিমানঘাঁটি।