অমর হতে চান পুতিন-শি? ১৫০ বছরের আয়ু নিয়ে আলোচনায় দুই নেতা
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত আলোচিত ভিক্টরি ডে প্যারেডে হাঁটার সময় আলোচনায় মেতে উঠেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তাদের কথোপকথনে উঠে আসে মানবজীবনের আয়ু দীর্ঘায়িত করার বিষয়। ঘটনাটি সম্প্রচারিত হয় চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির লাইভে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুতিন স্বীকার করেন, অন্তত ১৫০ বছর বাঁচার উপায় নিয়েই কথা হচ্ছিল। তাদের আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও উপস্থিত ছিলেন।
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে হাঁটার সময় শি বলেন, আগে যেখানে ৭০ বছর আয়ু খুব বড় কিছু মনে হতো, এখন সেটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে পুতিন মত দেন, বায়োটেকনোলজি ও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অগ্রগতির কারণে মানবজীবন অনেক দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনকি একদিন হয়তো অমরত্বও সম্ভব হবে।
শি’র দাবি, এ শতাব্দীর মধ্যেই মানুষের গড় আয়ুষ্কাল ১৫০ বছরে পৌঁছাতে পারে। আর পুতিনের মতে, আধুনিক চিকিৎসা ও প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সেই সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে শিশুদের তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এর ফলে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
রাশিয়ার ক্ষমতায় প্রায় ২৫ বছর ধরে আছেন পুতিন, আর শি জিনপিং নেতৃত্ব দিচ্ছেন চীনকে ১৩ বছর ধরে। বিশ্লেষকদের মতে, তাদের সাম্প্রতিক আলোচনা প্রমাণ করে, শুধু ক্ষমতা নয়—দীর্ঘ জীবন নিয়েও ভাবছেন দুই প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা।