ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি : সংগৃহিত

গাজার বাসিন্দারা আকাশ থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের পদ্ধতিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটি তাদের মর্যাদা হরণের একটি রূপ হিসেবে দেখছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই পদ্ধতিকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন।

স্থানীয় এক ব্যক্তি আহমেদ ফায়েজ ফায়াদ বলেছেন, “আমরা কোনো কুকুর নই যে আকাশ থেকে খাবার ছুঁড়ে দেওয়া হবে এবং রুটির টুকরোর জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার চাই।”

অপর একজন ফিলিস্তিনি মা, যিনি দীর্ঘ তিন দিন ধরে পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বলেছেন, “আমার সন্তান ক্ষুধায় কাঁদছে, আর আমাকে এভাবে অপমান সইতে হয়? আমরা সাহায্য চাই না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।”

আকাশ থেকে ফেলা অধিকাংশ ত্রাণ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় পড়ে যায়, যা সংগ্রহ করা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা প্যাকেটগুলি নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ফিলিস্তিনি স্থলপথে ত্রাণ বিতরণ না করে এই পদ্ধতিকে ‘দর্শনীয়তা’ বলে মনে করেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সতর্ক করেছেন, এই ধরনের প্যারাসুট বিতরণ গাজার মানুষের মানসিক ক্ষতিসাধন করছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এটি কোনও সমাধান নয়। গাজার প্রত্যেক পরিবারের কাছে যথাযথ সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো অবরোধ তুলে নেওয়া।”

বর্তমানে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র দাবি উঠেছে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য। গাজার এক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন, “আমরা ভিক্ষুক নই; আমরা শুধুমাত্র নিরাপদ জীবন ও মর্যাদা ভরে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশ্ন থাকা উচিত — তারা কি শুধু খাদ্য সরবরাহ করবে, নাকি ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা রক্ষায়ও কাজ করবে?”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:১৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
৩৮ বার পড়া হয়েছে

‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন

আপডেট সময় ০১:১৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

গাজার বাসিন্দারা আকাশ থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের পদ্ধতিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটি তাদের মর্যাদা হরণের একটি রূপ হিসেবে দেখছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই পদ্ধতিকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন।

স্থানীয় এক ব্যক্তি আহমেদ ফায়েজ ফায়াদ বলেছেন, “আমরা কোনো কুকুর নই যে আকাশ থেকে খাবার ছুঁড়ে দেওয়া হবে এবং রুটির টুকরোর জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার চাই।”

অপর একজন ফিলিস্তিনি মা, যিনি দীর্ঘ তিন দিন ধরে পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বলেছেন, “আমার সন্তান ক্ষুধায় কাঁদছে, আর আমাকে এভাবে অপমান সইতে হয়? আমরা সাহায্য চাই না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।”

আকাশ থেকে ফেলা অধিকাংশ ত্রাণ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় পড়ে যায়, যা সংগ্রহ করা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা প্যাকেটগুলি নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ফিলিস্তিনি স্থলপথে ত্রাণ বিতরণ না করে এই পদ্ধতিকে ‘দর্শনীয়তা’ বলে মনে করেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সতর্ক করেছেন, এই ধরনের প্যারাসুট বিতরণ গাজার মানুষের মানসিক ক্ষতিসাধন করছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এটি কোনও সমাধান নয়। গাজার প্রত্যেক পরিবারের কাছে যথাযথ সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো অবরোধ তুলে নেওয়া।”

বর্তমানে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র দাবি উঠেছে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য। গাজার এক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন, “আমরা ভিক্ষুক নই; আমরা শুধুমাত্র নিরাপদ জীবন ও মর্যাদা ভরে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশ্ন থাকা উচিত — তারা কি শুধু খাদ্য সরবরাহ করবে, নাকি ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা রক্ষায়ও কাজ করবে?”