‘আমার সিনেমাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করছে তারা’ — পাইরেসি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন জীবন
দেশের চলচ্চিত্র শিল্প যখন নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই পুরনো এক অভিশাপ ফের ভয়াবহ আকারে ফিরে এসেছে— পাইরেসি।
গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরতে শুরু করেন। এর ফলে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় বেশ কিছু সিনেমা অনলাইন পাইরেসির শিকার হওয়ায় আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে নির্মাতা ও প্রযোজকদের মাঝে।
এই বছরের দুই ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’, ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’ এবং মোশাররফ করিম অভিনীত ‘চক্কর ৩০২’-এর মতো আলোচিত সিনেমাগুলো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের মধ্যেই অনলাইনে বিভিন্ন পাইরেটেড সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমার নির্মাতা ও অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন।
তিনি ফেসবুকে দেওয়া একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমি জীবনের সবকিছু দিয়ে সিনেমা বানাই, আর কিছু মানুষ কেবল পাইরেসি করে আয় করে— এটা মেনে নেওয়া যায় না। যদি আমরা পাইরেসিকে বন্ধ করতে না পারি, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি কখনোই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।”
জীবন পাইরেসিকে একটি যুদ্ধ ও মহামারি আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই অপরাধ দণ্ডনীয়, আর এটা বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে এক হয়ে দাঁড়াতে হবে।”
তার মতে, পাইরেসির শাস্তি যেন ধর্ষণের শাস্তির মতো কঠোর হয়। কারণ, তার ভাষায়— “তারা আমাকে, আমার সিনেমাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করছে—দিনে, রাতে, প্রতিমুহূর্তে!”