ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েতে বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার, ছুরিকাঘাতে হত্যা!

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

কুয়েতে বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার, ছুরিকাঘাতে হত্যা!

কুয়েতের আবু হালিফা আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানির ছাদ থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তার নাম আনোয়ার হোসাইন (৪১)। তিনি যশোর সদর উপজেলার কোতায়ালী থানার চাঁদপাড়া গ্রামের মিকাইল মোল্লার ছেলে।

সূত্র জানিয়েছে, রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে অথবা রাতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাঁচ আফ্রিকানকে আটক করে তদন্ত চালাচ্ছে।

 

আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানিতে আফ্রিকান, মিশরীয়, নেপালী এবং কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। নিহত আনোয়ার হোসাইন আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানির টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
 
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই কোম্পানির কয়েকজন আফ্রিকানের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আনোয়ারের। এর জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
 
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। সন্দেহভাজনরা প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে। তবে আটকদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
 
 
এই বিষয়ে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তারা আমানকো কোম্পানির ভবন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত কর্মকর্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শেষে মরদেহ ফেরত দিলে তা দেশে পাঠানো হবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
২৫ বার পড়া হয়েছে

কুয়েতে বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার, ছুরিকাঘাতে হত্যা!

আপডেট সময় ০৭:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

কুয়েতে বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার, ছুরিকাঘাতে হত্যা!

কুয়েতের আবু হালিফা আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানির ছাদ থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তার নাম আনোয়ার হোসাইন (৪১)। তিনি যশোর সদর উপজেলার কোতায়ালী থানার চাঁদপাড়া গ্রামের মিকাইল মোল্লার ছেলে।

সূত্র জানিয়েছে, রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে অথবা রাতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাঁচ আফ্রিকানকে আটক করে তদন্ত চালাচ্ছে।

 

আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানিতে আফ্রিকান, মিশরীয়, নেপালী এবং কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। নিহত আনোয়ার হোসাইন আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানির টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
 
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই কোম্পানির কয়েকজন আফ্রিকানের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আনোয়ারের। এর জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
 
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। সন্দেহভাজনরা প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে। তবে আটকদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
 
 
এই বিষয়ে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তারা আমানকো কোম্পানির ভবন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত কর্মকর্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শেষে মরদেহ ফেরত দিলে তা দেশে পাঠানো হবে।