গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সংঘর্ষে চারজন নিহত, জেলাজুড়ে কারফিউ জারি
গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর চলা সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় একটি হাসপাতাল সূত্র নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দীপ্ত সাহা, রমজান কাজী, সোহেল ও ইমন তালুকদার। তবে বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। আজ রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ কার্যকর থাকবে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে দুপুরে, যখন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চৌরঙ্গী মোড়ে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। একাধিক দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে, যেখানে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন এবং পরে নিরাপত্তার সহায়তায় সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজধানীর শাহবাগ, মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, চট্টগ্রাম ও সিলেটেও অবরোধের খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
এদিকে, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরে রাজপথের পাশে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।