ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

নিজস্ব সংবাদ :

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জারিফ প্রতিদিনের মতোই গত মঙ্গলবার সকালে বইখাতা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল। সে আর ঘরে ফিরল না। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় সে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের সেই ঘর, যেখানে প্রতিদিন গুনগুন করে হাসত ছোট্ট জারিফ।

পরিবার জানায়, জারিফ দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট। তার বাবা হাবিবুর রহমান একজন ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো ওইদিনও মা তাকে স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। একাই বাসায় ফেরার কথা ছিল জারিফের। কিন্তু ঘটনার পর পরিবারের কেউ তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না।

দুপুরের দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে, সেখানে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় একজন শিশুকে আনা হয়েছে। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেই শিশুটি জারিফ। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তখন তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে টানা চারদিন ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল সে।

শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে জারিফ মৃত্যুর কাছে হার মানে। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, আহতদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ও চীনের চিকিৎসক দল বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৫ জনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। পর্যায়ক্রমে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

হাসপাতাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনী, র‍্যাব এবং বিমান বাহিনীর টিম কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত স্কিন বা রক্তদাতার প্রয়োজন নেই এবং আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
১০৭ বার পড়া হয়েছে

জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জারিফ প্রতিদিনের মতোই গত মঙ্গলবার সকালে বইখাতা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল। সে আর ঘরে ফিরল না। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় সে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের সেই ঘর, যেখানে প্রতিদিন গুনগুন করে হাসত ছোট্ট জারিফ।

পরিবার জানায়, জারিফ দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট। তার বাবা হাবিবুর রহমান একজন ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো ওইদিনও মা তাকে স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। একাই বাসায় ফেরার কথা ছিল জারিফের। কিন্তু ঘটনার পর পরিবারের কেউ তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না।

দুপুরের দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে, সেখানে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় একজন শিশুকে আনা হয়েছে। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেই শিশুটি জারিফ। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তখন তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে টানা চারদিন ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল সে।

শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে জারিফ মৃত্যুর কাছে হার মানে। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, আহতদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ও চীনের চিকিৎসক দল বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৫ জনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। পর্যায়ক্রমে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

হাসপাতাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনী, র‍্যাব এবং বিমান বাহিনীর টিম কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত স্কিন বা রক্তদাতার প্রয়োজন নেই এবং আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে।