জেলায় জেলায় উঠান বৈঠকে ব্যস্ত এনসিপি, রাজপথে ফেরার প্রস্তুতি
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—যারা মূলত জুলাই আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা গঠিত। দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে সরব থেকেছে, রাজপথে কর্মসূচি, আলোচনায় অংশগ্রহণ ও জনমত গঠনে সক্রিয় ছিল।
বিশেষত, অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে গত জুলাই মাসে ‘দেশগড়তে পদযাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক উপস্থিতি দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময় রাজপথে দলটির উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে, চোখে পড়ছে না নতুন কোনো বড় কর্মসূচিও।
এই প্রেক্ষাপটে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন—এনসিপি এখন কী করছে?
এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে না দেখা গেলেও জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি, যার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে।
দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, নতুন সংবিধান, বিচারব্যবস্থা ও সংস্কার নিয়ে আলোচনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বৈঠক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা জুলাই সনদ ও নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলছি। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কথাও শুনছি। এজন্য সাময়িকভাবে ঢাকায় কোনও কর্মসূচি দেওয়া হয়নি।”
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭টি উপজেলায় ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলটি এসব উঠান বৈঠক থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে বা ভোটের রাজনীতিতে তা কীভাবে কাজে লাগাবে—এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, “উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের কাঠামো ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে। অভ্যুত্থানের পর যে নতুন রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছে, সেটারও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এসব বৈঠকে।”