ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজায় সৌজন্য উপহার, ভারতে যাচ্ছে ইলিশ

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের অনুরোধে এ বছর ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এটি কোনো চাপের কারণে নয়, বরং সৌজন্যবোধ থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতিবছরই ভারতে মাছ রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ইলিশ পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, এ মৌসুমে দেশে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। জুলাই মাসে গত বছরের তুলনায় ৩৭% কম এবং আগস্টে ৪৭% কম ইলিশ ধরা পড়েছে। এর ফলে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য কম মূল্যে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রবাসীদের জন্যও রপ্তানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এছাড়া সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদা আখতার জানান, কৃষিতে যেমন প্রণোদনা দেওয়া হয়, তেমনটি মৎস্য খাতে এখনো নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

দুর্গাপূজায় সৌজন্য উপহার, ভারতে যাচ্ছে ইলিশ

আপডেট সময় ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের অনুরোধে এ বছর ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এটি কোনো চাপের কারণে নয়, বরং সৌজন্যবোধ থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতিবছরই ভারতে মাছ রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ইলিশ পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, এ মৌসুমে দেশে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। জুলাই মাসে গত বছরের তুলনায় ৩৭% কম এবং আগস্টে ৪৭% কম ইলিশ ধরা পড়েছে। এর ফলে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য কম মূল্যে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রবাসীদের জন্যও রপ্তানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এছাড়া সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদা আখতার জানান, কৃষিতে যেমন প্রণোদনা দেওয়া হয়, তেমনটি মৎস্য খাতে এখনো নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।