ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা স্থগিত, নতুন সংকটে নেতানিয়াহু

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কড়া সতর্কবার্তার পর পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থেকে আপাতত সরে এসেছে ইসরায়েল। একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবুধাবির স্বীকৃতি হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সরকারের আলোচ্যসূচি থেকে বিষয়টি সরিয়ে দিয়েছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনামলের শেষ দিকে আমিরাত উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের আওতায় তখন শর্ত ছিল— পশ্চিম তীরে নতুন করে বসতি স্থাপন না করা।

গত দুই বছর ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে দমননীতি চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়, তখন নেতানিয়াহুর সরকার পশ্চিম তীরের বিশাল অংশ নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার রূপরেখা প্রকাশ করে। এমনকি কট্টরপন্থি মন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচ দাবি করেছিলেন— অন্তত ৮২ শতাংশ অঞ্চলে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তবে সম্প্রতি আবুধাবি সতর্ক করে জানায়, পশ্চিম তীর সংযুক্তির উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে তারা আব্রাহাম চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবে। এর পরই ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচ্য তালিকা থেকে এ ইস্যু সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তাদের মতে, জোটের কট্টর ডানপন্থিদের চাপ থাকলেও আমিরাতের হুমকির পর পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।

বিশ্লেষকদের ধারণা, আব্রাহাম অ্যাকর্ড ভেঙে গেলে নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কও জটিল হতে পারে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে— পশ্চিম তীর ইস্যুতে যেভাবে ইসরায়েল নরম হয়েছে, গাজার আগ্রাসন বন্ধে কেন একই ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে না আমিরাত ও বাহরাইনের মতো মিত্র দেশগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭ বার পড়া হয়েছে

পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা স্থগিত, নতুন সংকটে নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কড়া সতর্কবার্তার পর পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থেকে আপাতত সরে এসেছে ইসরায়েল। একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবুধাবির স্বীকৃতি হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সরকারের আলোচ্যসূচি থেকে বিষয়টি সরিয়ে দিয়েছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনামলের শেষ দিকে আমিরাত উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের আওতায় তখন শর্ত ছিল— পশ্চিম তীরে নতুন করে বসতি স্থাপন না করা।

গত দুই বছর ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে দমননীতি চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়, তখন নেতানিয়াহুর সরকার পশ্চিম তীরের বিশাল অংশ নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার রূপরেখা প্রকাশ করে। এমনকি কট্টরপন্থি মন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচ দাবি করেছিলেন— অন্তত ৮২ শতাংশ অঞ্চলে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তবে সম্প্রতি আবুধাবি সতর্ক করে জানায়, পশ্চিম তীর সংযুক্তির উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে তারা আব্রাহাম চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবে। এর পরই ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচ্য তালিকা থেকে এ ইস্যু সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তাদের মতে, জোটের কট্টর ডানপন্থিদের চাপ থাকলেও আমিরাতের হুমকির পর পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।

বিশ্লেষকদের ধারণা, আব্রাহাম অ্যাকর্ড ভেঙে গেলে নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কও জটিল হতে পারে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে— পশ্চিম তীর ইস্যুতে যেভাবে ইসরায়েল নরম হয়েছে, গাজার আগ্রাসন বন্ধে কেন একই ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে না আমিরাত ও বাহরাইনের মতো মিত্র দেশগুলো।