পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফের চায় নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে গুরুতর অনিয়মের ক্ষেত্রে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চায় সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, সিনিয়র সচিব এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচনে কারচুপি বা অনিয়ম ঘটলে সম্পূর্ণ আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা থাকা উচিত। সেই দাবিতেই কমিশন প্রস্তাব তুলেছে। এছাড়াও, প্রার্থীরা হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হওয়ার পরও তাদের তলব করা যাবে—এমন বিধান যুক্ত করার কথাও ভাবছে ইসি।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব দল এখনো প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের ১৫ দিনের সময় দিয়ে পুনরায় চিঠি পাঠানো হবে। একইসঙ্গে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ জানান, সরকার ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের জন্য পৃথক ভোটকেন্দ্রের সুপারিশ করেছে। বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইসিই নেবে।
শাপলা প্রতীক নির্বাচন প্রতীকি তালিকায় না রাখার বিষয়েও তিনি বলেন, দুটি দল এ প্রতীক চাইলেও কমিশন সবদিক বিবেচনা করে সেটিকে অনুমোদন দেয়নি।