বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা: জেদে অটল দলগুলো সুযোগ করে দিচ্ছে তৃতীয় পক্ষকে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর অনমনীয় অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, অযৌক্তিক জেদ যদি অব্যাহত থাকে, তবে ক্ষমতায় আসতে পারে এমন তৃতীয় শক্তি, যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়।
যদিও সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তবে বড় দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে প্রতিদিনই নানা ধরনের শঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
১ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করলেও কোনো পক্ষই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। বিএনপির অবস্থান, সংসদের বাইরে কোনো সংবিধান সংশোধন নয়। জামায়াত চায় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিক নির্বাচন। অন্যদিকে এনসিপি দাবি করছে, পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, দলগুলোর অনড় অবস্থান তৃতীয় শক্তির উত্থানকে সহজতর করতে পারে। তার ভাষায়, “যদি নির্বাচনই না হয়, তবে তৃতীয় পক্ষ ক্ষমতা দখল করবে, যারা গণতন্ত্র চায় না। তখন হয় সামরিক শাসন ফিরে আসবে, অথবা ইউনূস অন্য কারও হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ফেরার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এই জেদের রাজনীতি দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ঐকমত্য না হলে সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়বে। সেক্ষেত্রে দেশের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দায় নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই।” তবে তার মতে, নির্বাচন ও দাবি–দাওয়া পাশাপাশি চলতে পারে, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়াই জরুরি।