ইউরোপের দেশ মন্টিনিগ্রোর একটি শহরে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতকসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন। এ ঘটনায় দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
সিজিটিএন-এর প্রতিবেদন মতে, বুধবার (১ জানুয়ারি) সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মন্টিনিগ্রোর দক্ষিণাঞ্চলে সিটিনজি শহরের কাছের এক গ্রামে হামলার ঘটে। বিন্দুকধারী আত্মহত্যার আগে গুলি করে ১২ জনকে হত্যা করেন।
একটি বারে বাকবিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হামলাকারী বারের মালিক ও তার দুই সন্তানকে হত্যা করেন। এরপর তিনি আরও তিনটি স্থানে দুই শিশুসহ আরও ৮ জনকে গুলি করে হত্যা করেন বলে জানান প্রসিকিউটর আন্দ্রিজানা নাস্টিক।
ঘাতকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তার নাম আলেক্সান্দার আকো মার্টিনোভিচ। মন্টিনিগ্রোর পুলিশ প্রধান লাজার সিপানোভিক জানান, ঘাতক মার্টিনোভিচ ঘটনার আগে দিনভর মদ খেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, হোটেলে তিনি প্রথমে একজনের সাথে বিবাদে জড়ান। তারপর বাড়ি ফিরে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে ফিরে এসে ওই হোটেলের চারজনকে গুলি করে হত্যা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিলো সারানোভিচ বলেন, এক পর্যায়ে পুলিশ অফিসাররা মার্টিনোভিচকে তার বাড়ির কাছে কোণঠাসা করে ফেললে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর ট্রাজেডি’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিলাজকো স্পাজিচ। দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব মিলাটোভিচ বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি ‘ব্যথিত ও মর্মাহত’।