ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন, ড্রোন বিক্রির নতুন সুযোগ

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

বহু বছরের পুরোনো সমঝোতা ভেঙে সমরাস্ত্র বিক্রির নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রিজিম (এমটিসিআর) অনুযায়ী, দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বিক্রিতে কঠোর সীমাবদ্ধতা ছিল। এবার সৌদি আরব ও পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশের কাছে উন্নতমানের রিপার ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।

এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি থেকে শুরু করে হামলা পরিচালনা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই কার্যকর। ঘণ্টায় প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম এ ড্রোন একটানা আকাশে থাকতে পারে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। হেলফায়ার মিসাইল ও লেজার গাইডেড বোমা বহন করতে সক্ষম এই আকাশযান দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।

সৌদি আরব ইতোমধ্যেই শতাধিক রিপার ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যার মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু সৌদি নয়, ইউরোপ ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশও আগ্রহী এই ড্রোন কিনতে।

তবে বর্তমান সমঝোতা মার্কিন পরিকল্পনার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওয়াশিংটন নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, নতুন নীতির আওতায় বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দেশটি সমরাস্ত্র বিক্রি করবে।

এদিকে, বিশ্ব অস্ত্রবাজারে মার্কিন ড্রোন নির্মাতাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে চীন ও তুরস্ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন, ড্রোন বিক্রির নতুন সুযোগ

আপডেট সময় ০১:২০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বহু বছরের পুরোনো সমঝোতা ভেঙে সমরাস্ত্র বিক্রির নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রিজিম (এমটিসিআর) অনুযায়ী, দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বিক্রিতে কঠোর সীমাবদ্ধতা ছিল। এবার সৌদি আরব ও পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশের কাছে উন্নতমানের রিপার ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।

এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি থেকে শুরু করে হামলা পরিচালনা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই কার্যকর। ঘণ্টায় প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম এ ড্রোন একটানা আকাশে থাকতে পারে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। হেলফায়ার মিসাইল ও লেজার গাইডেড বোমা বহন করতে সক্ষম এই আকাশযান দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।

সৌদি আরব ইতোমধ্যেই শতাধিক রিপার ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যার মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু সৌদি নয়, ইউরোপ ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশও আগ্রহী এই ড্রোন কিনতে।

তবে বর্তমান সমঝোতা মার্কিন পরিকল্পনার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওয়াশিংটন নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, নতুন নীতির আওতায় বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দেশটি সমরাস্ত্র বিক্রি করবে।

এদিকে, বিশ্ব অস্ত্রবাজারে মার্কিন ড্রোন নির্মাতাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে চীন ও তুরস্ক।