ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম ভাষণে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা খামেনির

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি : সংগৃহিত

ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘর্ষের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি ইরানের বিজয় দাবি করে বলেন, “ইহুদিবাদী শাসকরা বড় মুখ করে কথা বললেও ইরানি প্রতিরোধে তারা প্রায় ধসে পড়েছিল।”

খামেনি বলেন, “ভুয়া ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এই বিজয়ের জন্য আমি জাতিকে অভিনন্দন জানাই। ইসলামিক রিপাবলিকের একতাবদ্ধ প্রতিরোধে শত্রুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে।”

ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, “মার্কিন প্রশাসন সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, কারণ তারা জানতো ইহুদিবাদীদের পতন অনিবার্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগ্রাসন থেকেও কিছু অর্জন করতে পারেনি। বরং, এই যুদ্ধে প্রকৃত বিজয়ী ইরান।”

খামেনি আরও বলেন, “এই বিজয়ে আমি ৯ কোটিরও বেশি ইরানি নাগরিকের সংহতিকে শ্রদ্ধা জানাই। গোটা জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতি প্রমাণ করেছে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ইরানিরা এককাট্টা।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে কেউ যদি আবারো আগ্রাসন চালাতে চায়, তাহলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে — এমন আঘাত, যা ইহুদিবাদীরা কখনও কল্পনাও করেনি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
৯০ বার পড়া হয়েছে

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম ভাষণে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা খামেনির

আপডেট সময় ১০:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘর্ষের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি ইরানের বিজয় দাবি করে বলেন, “ইহুদিবাদী শাসকরা বড় মুখ করে কথা বললেও ইরানি প্রতিরোধে তারা প্রায় ধসে পড়েছিল।”

খামেনি বলেন, “ভুয়া ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এই বিজয়ের জন্য আমি জাতিকে অভিনন্দন জানাই। ইসলামিক রিপাবলিকের একতাবদ্ধ প্রতিরোধে শত্রুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে।”

ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, “মার্কিন প্রশাসন সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, কারণ তারা জানতো ইহুদিবাদীদের পতন অনিবার্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগ্রাসন থেকেও কিছু অর্জন করতে পারেনি। বরং, এই যুদ্ধে প্রকৃত বিজয়ী ইরান।”

খামেনি আরও বলেন, “এই বিজয়ে আমি ৯ কোটিরও বেশি ইরানি নাগরিকের সংহতিকে শ্রদ্ধা জানাই। গোটা জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতি প্রমাণ করেছে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ইরানিরা এককাট্টা।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে কেউ যদি আবারো আগ্রাসন চালাতে চায়, তাহলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে — এমন আঘাত, যা ইহুদিবাদীরা কখনও কল্পনাও করেনি।”