শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি: ট্রাইব্যুনালে স্টেট ডিফেন্সের দাবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন দাবি করেছেন, আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম সাক্ষী জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জেরা চলাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম টানা দুই দিন সাক্ষ্য দেন এ মামলায়।
আমির হোসেন বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্টের এক দফা কর্মসূচি ছিল দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যার পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির প্রভাব ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, এ কারণেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে প্রসিকিউশন এবং শেখ হাসিনার আইনজীবীরা এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, মামলার সঙ্গে সম্পর্কহীন বিষয়ে এমন আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক।
ডিফেন্স পক্ষ দাবি করে, শেখ হাসিনা কখনো আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার বা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি, বরং শান্তি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছেন। সেই সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
অন্যদিকে, সাক্ষী নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের বিষয়ে তিনি সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন।
রোববার বেলা ১১টার পর জেরা শুরু হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
















