ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির

সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে। কংগ্রেসে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া এবং বিচার কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগই এর ভিত্তি। তবে কোমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনেটে এক শুনানিতে কোমি বলেছিলেন—তিনি কোনো এফবিআই কর্মকর্তাকে গণমাধ্যমে বেনামি সূত্র হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেননি। আইনজীবীদের মতে, তার এই দাবি সঠিক ছিল না এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখে আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছেন তিনি।

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কোমি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই তাকে বরখাস্ত করেন।

অভিযোগ গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে লিখেছেন, “এটা ন্যায়বিচারের জয়। আমেরিকা এখন পর্যন্ত যেসব খারাপ ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হলেন জেমস কোমি, দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক এফবিআই প্রধান।”

এদিকে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় কোমি বলেন, বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে তিনি ব্যথিত হলেও কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি পুনরায় নিজের নির্দোষতার কথাও উল্লেখ করেন।

বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা মনে করছে, কোমির বিরুদ্ধে আনা মামলা ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দেওয়ার কৌশল। ভার্জিনিয়ার সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারসহ কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্র্যাট এ নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন।

২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা করার পর থেকেই ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রথম তার প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করল।

বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন তার আরও কয়েকজন সমালোচকের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। সমালোচকদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখার দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪৭ বার পড়া হয়েছে

সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে। কংগ্রেসে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া এবং বিচার কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগই এর ভিত্তি। তবে কোমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনেটে এক শুনানিতে কোমি বলেছিলেন—তিনি কোনো এফবিআই কর্মকর্তাকে গণমাধ্যমে বেনামি সূত্র হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেননি। আইনজীবীদের মতে, তার এই দাবি সঠিক ছিল না এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখে আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছেন তিনি।

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কোমি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই তাকে বরখাস্ত করেন।

অভিযোগ গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে লিখেছেন, “এটা ন্যায়বিচারের জয়। আমেরিকা এখন পর্যন্ত যেসব খারাপ ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হলেন জেমস কোমি, দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক এফবিআই প্রধান।”

এদিকে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় কোমি বলেন, বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে তিনি ব্যথিত হলেও কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি পুনরায় নিজের নির্দোষতার কথাও উল্লেখ করেন।

বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা মনে করছে, কোমির বিরুদ্ধে আনা মামলা ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দেওয়ার কৌশল। ভার্জিনিয়ার সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারসহ কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্র্যাট এ নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন।

২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা করার পর থেকেই ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রথম তার প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করল।

বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন তার আরও কয়েকজন সমালোচকের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। সমালোচকদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখার দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।