ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ৬ জন প্রকৌশলী ও স্থপতিকে বরখাস্ত Logo রাশিয়ার ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ডকৃত ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত Logo শুধু নির্বাচিত সরকারেরই সংস্কারের অধিকার রয়েছে: ড. মঈন খান Logo রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জন গ্রেফতার, দায়ের ৩৩টি মামলা Logo সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়মের অভিযোগে বড় অঙ্কের জরিমানা Logo ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষায় বিএনপি, নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জামায়াত Logo ইরানের বিরুদ্ধে ফের শক্ত হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo ‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন Logo ডিসেম্বরে শেষ হবে গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তদের বিচার: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বিএনপি: ফখরুল

৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষায় বিএনপি, নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জামায়াত

নিজস্ব সংবাদ :

জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানের আভাস দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কিংবা উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ ঘোষণা আসেনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সদ্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে সংশয় এখনও কাটেনি। দলগুলোর মতে, নির্বাচন ঘিরে সরকারের প্রস্তুতি আশানুরূপ নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে – এমন একটি সময়সীমা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি – এই সময় পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো।”

অন্যদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি আর বিলম্ব করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “সরকার যদি সত্যিই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, তবে এখনই সংশয় ও অনাস্থার অবসান ঘটাতে হবে।”

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার বলেছে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন আয়োজন করবে। আমরা মনে করি এখনো সে পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে।”

নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে, যার চরিত্র হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো। তারা মনে করে, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার উপস্থিতি নিরপেক্ষ চরিত্রে প্রশ্ন তুলছে। তাদের অপসারণ জরুরি।” তার দাবি, একটি নতুন গঠিত দলের প্রতিনিধি হিসেবে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান বলেন, “যেসব উপদেষ্টার দপ্তরে ভালো ফলাফল রয়েছে, তারা থাকলেও সমস্যা নেই। তবে ব্যর্থ জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা জরুরি।”

সাইফুল হক বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল বা মতাদর্শের পক্ষ নিতে দেওয়া যাবে না। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোতেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”

রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত, গণহত্যা ও জুলাই সনদের বিচার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর বিলম্বের কোনো যুক্তি নেই। নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে বিলম্ব হলে জনআস্থার সংকট তৈরি হতে পারে এবং নতুন করে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জোরালো হতে পারে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
১০ বার পড়া হয়েছে

৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষায় বিএনপি, নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জামায়াত

আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানের আভাস দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কিংবা উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ ঘোষণা আসেনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সদ্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে সংশয় এখনও কাটেনি। দলগুলোর মতে, নির্বাচন ঘিরে সরকারের প্রস্তুতি আশানুরূপ নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে – এমন একটি সময়সীমা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি – এই সময় পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো।”

অন্যদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি আর বিলম্ব করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “সরকার যদি সত্যিই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, তবে এখনই সংশয় ও অনাস্থার অবসান ঘটাতে হবে।”

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার বলেছে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন আয়োজন করবে। আমরা মনে করি এখনো সে পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে।”

নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে, যার চরিত্র হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো। তারা মনে করে, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার উপস্থিতি নিরপেক্ষ চরিত্রে প্রশ্ন তুলছে। তাদের অপসারণ জরুরি।” তার দাবি, একটি নতুন গঠিত দলের প্রতিনিধি হিসেবে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান বলেন, “যেসব উপদেষ্টার দপ্তরে ভালো ফলাফল রয়েছে, তারা থাকলেও সমস্যা নেই। তবে ব্যর্থ জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা জরুরি।”

সাইফুল হক বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল বা মতাদর্শের পক্ষ নিতে দেওয়া যাবে না। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোতেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”

রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত, গণহত্যা ও জুলাই সনদের বিচার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর বিলম্বের কোনো যুক্তি নেই। নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে বিলম্ব হলে জনআস্থার সংকট তৈরি হতে পারে এবং নতুন করে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জোরালো হতে পারে।