ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা অবসানে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে সই করেছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের নেতারা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “জুলাই মাসে সংঘাত শুরু হওয়ার পর আমাদের মধ্যে বহুবার ফোনে কথা হয়েছে। অবশেষে আমাদের প্রশাসন ওই রক্তপাত বন্ধ করতে সফল হয়েছে।”
গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কয়েকদিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৩৮ জন প্রাণ হারান এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। পরবর্তীতে উভয় দেশ ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টা জাতিসংঘের চেয়েও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
চুক্তি সফল করতে বিশেষ অবদানের জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ট্রাম্পের “দৃঢ় নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার” প্রশংসা করেন এবং বলেন, “যেকোনো জটিল বিরোধও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা সম্ভব।”
থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুলও আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তার প্রশংসা করে বলেন, এই চুক্তি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।
বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে অবস্থান করছেন। তিনি তিন দিনব্যাপী ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন, ১৩তম আসিয়ান-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলন এবং ২০তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
মালয়েশিয়া সফর শেষে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ট্রাম্প জাপানে গিয়ে নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (APEC) সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে তাঁর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
















