মদ্যপানের অভিযোগে তদন্তে ইংল্যান্ড শিবির, স্টোকসদের পাশে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার
ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককলাম বরাবরই প্রচলিত ধারা ভাঙতে পছন্দ করেন। কড়া অনুশীলনের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মানসিক স্বস্তি ও বিনোদনকেও গুরুত্ব দেন তিনি। বড় ম্যাচের আগে কখনও গলফ খেলা, আবার কখনও দল নিয়ে বারে সময় কাটানো—এমন সিদ্ধান্তে তিনি বিশ্বাসী। অ্যাশেজ সিরিজে প্রথম দুই টেস্টে হারার পর যখন ইংল্যান্ড ট্রফি হারানোর মুখে, তখন পুরো দলকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে সময় কাটান ম্যাককলাম।
ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর ইংল্যান্ড দল কুইন্সল্যান্ড উপকূলের নুসা সৈকতে কয়েক দিন অবস্থান করে। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এ সময় বেন স্টোকসদের দল টানা প্রায় ছয় দিন মদ্যপান করেছে। পরে তারা অ্যাডিলেডে গিয়ে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামে। তবে পর্যাপ্ত অনুশীলন ছাড়াই মাঠে নেমে ৮২ রানে হেরে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে অ্যাশেজ সিরিজ হারায় সফরকারী দল, যার পর শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংল্যান্ড ওপেনার বেন ডাকেটের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে তিনি হোটেলের পথ ভুলে গিয়েছিলেন। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পাশাপাশি মদ্যপানের অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। ইসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট রব কি বলেন, টানা ছয় দিন মদ্যপান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এমন সংস্কৃতির তিনি বিরোধী।
তবে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন না অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ড্যারেন লেহম্যান। তার মতে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা কোনো অসংযত আচরণ করেননি। এবিসি স্পোর্টসকে দেওয়া বক্তব্যে লেহম্যান বলেন, তিনি নিজে নুসায় উপস্থিত ছিলেন এবং সমালোচনাগুলো তাকে বিরক্ত করেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ভালো খেলতে পারেনি এবং সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতিও যথাযথ ছিল না—এ কথা তিনি মানেন। তবে মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের আচরণ ছিল শালীন, তারা স্থানীয়দের সঙ্গে মিশেছে এবং কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেনি।




















