ব্রেকিং নিউজ :
স্বর্ণের আজকের বাজারদর
বিশ্ববাজারে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। তবে ঈদের ছুটি চলায় দেশের বাজারে এখনও দাম সমন্বয় করেনি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ফলে ঈদের আগের নির্ধারিত দামেই দেশে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রুপাও।
সবশেষ গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন স্বর্ণের ২২ ক্যারেটের এক ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়ছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হয়েছে স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর বড় দরপতন হয়েছে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসার আগে এটি ঘিরে বিশ্ববাজারে বেশ অস্থির হয় স্বর্ণের দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩৭ ডলার থেকে বেড়ে ৩ হাজার ১৬৭ ডলারে উঠে যায়।
অবশ্য এই রেকর্ড দাম স্পর্শ করার পর পরই দরপতনের মধ্যে পড়ে মূল্যবান এই ধাতুটি। কমতে কমতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে ৩ হাজার ৯০ ডলারে নেমে গেছে। এতে একদিনেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৭০ ডলারের ওপর কমে গেছে।
এদিকে. দেশের বাজারে রুপাও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।