রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটিকে প্রশিক্ষণ বিমান বলা হচ্ছে— তবে এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, এটি প্রকৃতপক্ষে একটি যুদ্ধবিমান ছিল, যা একটি প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ নিচ্ছিল।
আইএসপিআর জানায়, “কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে বিমানটি শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। তবে আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এটি একটি যুদ্ধবিমান— যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী— এবং এটি ওই সময় প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ নিচ্ছিল।”
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে তারা আরও জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি কুর্মিটোলা বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে পৌঁছায়।
পরবর্তীতে জানা যায়, চীনে তৈরি বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই মডেলের যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুলের একটি দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে। যদিও এটি প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে উড়েছিল, তবুও সেটি আদতে একটি যুদ্ধবিমান ছিল।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও একজন শিক্ষিকা ছিলেন; বাকি ২৫ জনই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান, মঙ্গলবার সকালে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে।