ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo চাকসু নির্বাচনে খালেদা জিয়া হলে সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত পূর্ণিমা রাধে Logo মির্জা ফখরুল: তারেক রহমান দেশে ফিরলে সব ষড়যন্ত্রের অবসান হবে Logo পুত্র সন্তানের আগমনে বাবা হলেন হাসনাত আবদুল্লাহ Logo এইচএসসিতে পাসের হার কমে অর্ধেকের নিচে: কী কারণে এমন ফলাফল? Logo বুধবার ট্রাম্প-মোদির মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়নি: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Logo জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হচ্ছে আজ Logo বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণের আগে ডিজিটাল অনুমতি বাধ্যতামূলক Logo এইচএসসি পরীক্ষায় ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য Logo রাকসু নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ

এইচএসসিতে পাসের হার কমে অর্ধেকের নিচে: কী কারণে এমন ফলাফল?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। চলতি বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দুই দশকে এটি সর্বনিম্ন পাসের হার।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮.৮৩ শতাংশ। এর আগে সবচেয়ে কম পাসের হার ছিল ২০০৫ সালে—৫৯.১৬ শতাংশ।

এই ফলাফল নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা ও বিশ্লেষণ। শিক্ষাবিদদের মতে, শুধুমাত্র “ভালো” বা “খারাপ” শব্দ দিয়ে এ ফলাফল বিচার করা সঠিক হবে না।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ফলাফল “অস্বস্তিকর”, তবে এটিকে বাস্তব চিত্র বলেই মনে করছেন তিনি।

 

২০২৫ সালের ফলাফল ও পরিসংখ্যান

১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), ঢাকার বকশীবাজারে শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল হক জানান:

পরীক্ষার্থী: ১২,৩৫,৬৬১ জন

পাস করেছেন: ৭,২৬,৯৬০ জন

ফেল করেছেন: ৫,০৮,৭০১ জন

জিপিএ-৫ পেয়েছেন: ৬৯,০৯৭ জন

বোর্ডভিত্তিক পাসের হার:

বোর্ড পাসের হার

ঢাকা ৬৪.৬২%
রাজশাহী ৫৯.৪০%
কুমিল্লা ৪৮.৮৬%
যশোর ৫০.২০%
চট্টগ্রাম ৫২.৫৭%
বরিশাল ৬২.৫৭%
সিলেট ৫১.৮৬%
দিনাজপুর ৫৭.৪৯%
ময়মনসিংহ ৫১.৫৪%
মাদ্রাসা ৭৫.৬১%
কারিগরি ৬২.৬৭%

 

 

দুই দশকে ফলাফলের চিত্র

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী:

২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯.১৬%

২০০৬-২০১০ এর মধ্যে তা ৬৪% থেকে ৭৫% পর্যন্ত উঠেছিল

২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ সালে কিছুটা কমলেও ৭০%-এর কাছাকাছি ছিল

২০২০ সালে কোভিডের কারণে ‘বিশেষ প্রক্রিয়ায়’ সবাই পাস

২০২১-২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৮৪% ও ৯৫%

২০২৩ সালে কমে আসে ৮০%-এর নিচে

২০২৪ সালে ছিল ৭৭.৭৮%

আর ২০২৫ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ৫৮.৮৩%—দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

 

 

ফলাফলে বিপর্যয়: কারণ কী?

পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার পেছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা ও শিক্ষাবিদরা।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “এবার আমরা পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর এবং পূর্ণ সময় নিয়ে পরীক্ষা নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা হয়তো এতে মানিয়ে নিতে পারেনি।”

পাসের হার কমার অন্য কারণগুলো:

পূর্ববর্তী বছরের অতিরঞ্জিত ফলাফলের সংস্কৃতি থেকে বাস্তবতায় ফেরা

প্রকৃত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অনুসরণ

প্রশ্ন ও খাতা মূল্যায়নের ধরনে পরিবর্তন

কোচিং বা মুখস্থ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা

মাঠের রাজনীতি ও ক্লাসে অনুপস্থিতি

 

 

কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ফেল?

এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হয়েছেন তিনটি বিষয়ে:

হিসাববিজ্ঞান: ফেল করেছেন ৪১.৪৬%

ইংরেজি: ফেল করেছেন ৩৮.৮%

আইসিটি: ফেল করেছেন ২৭.২৮%

 

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল: আশঙ্কাজনক চিত্র

২০২৪ সালে: ১৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে

২০২৫ সালে: সংখ্যাটি কমে ৩৪৫টি

২০২৪ সালে: শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি

২০২৫ সালে: বেড়ে দাঁড়ায় ২০২টি

দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ৪৩টি কলেজে কেউই পাস করেনি। উদাহরণ হিসেবে বীরগঞ্জের কবিরাজ হাট কলেজের কথা বলা যায়, যেখানে ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও কেউ পাস করতে পারেনি।

 

শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি: বাস্তবতায় ফেরার সূচনা

বুয়েট, এনএসইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান মনে করেন, এটি কোনো বিপর্যয় নয়—বরং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ‘ধাক্কা’।

তিনি বলেন, “অতিরিক্ত জিপিএ-৫ বা অস্বাভাবিক ভালো ফলাফলের প্রবণতা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। এবার সেই মুখোশ খুলে গেছে। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা মানোন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।”

 

উপসংহার: বাস্তবতার মুখোমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা

শিক্ষা উপদেষ্টা ও বোর্ড কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিক্ষার মান উন্নয়নে এখন প্রয়োজন:

শিক্ষক প্রশিক্ষণ

শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণধর্মী চর্চা

মুখস্থভিত্তিক শিক্ষা কমিয়ে বাস্তব শেখাকে গুরুত্ব

গঠনমূলক কারিকুলাম ও পরিবেশ

শিক্ষক মূল্যায়ন ও উৎসাহ প্রদান

এইচএসসির ফলাফল হয়তো হতাশাজনক, তবে এটিই হতে পারে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের সূচনা।

 

সংক্ষেপে:
১. ফলাফল কম, কিন্তু বাস্তব।
২. মুখস্তের শিক্ষা থেকে বেরিয়ে বিশ্লেষণমূলক শিক্ষায় জোর।
৩. শিক্ষকদের উন্নয়নেই ভবিষ্যতের শিক্ষা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
৭ বার পড়া হয়েছে

এইচএসসিতে পাসের হার কমে অর্ধেকের নিচে: কী কারণে এমন ফলাফল?

আপডেট সময় ১০:২১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। চলতি বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দুই দশকে এটি সর্বনিম্ন পাসের হার।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮.৮৩ শতাংশ। এর আগে সবচেয়ে কম পাসের হার ছিল ২০০৫ সালে—৫৯.১৬ শতাংশ।

এই ফলাফল নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা ও বিশ্লেষণ। শিক্ষাবিদদের মতে, শুধুমাত্র “ভালো” বা “খারাপ” শব্দ দিয়ে এ ফলাফল বিচার করা সঠিক হবে না।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ফলাফল “অস্বস্তিকর”, তবে এটিকে বাস্তব চিত্র বলেই মনে করছেন তিনি।

 

২০২৫ সালের ফলাফল ও পরিসংখ্যান

১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), ঢাকার বকশীবাজারে শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল হক জানান:

পরীক্ষার্থী: ১২,৩৫,৬৬১ জন

পাস করেছেন: ৭,২৬,৯৬০ জন

ফেল করেছেন: ৫,০৮,৭০১ জন

জিপিএ-৫ পেয়েছেন: ৬৯,০৯৭ জন

বোর্ডভিত্তিক পাসের হার:

বোর্ড পাসের হার

ঢাকা ৬৪.৬২%
রাজশাহী ৫৯.৪০%
কুমিল্লা ৪৮.৮৬%
যশোর ৫০.২০%
চট্টগ্রাম ৫২.৫৭%
বরিশাল ৬২.৫৭%
সিলেট ৫১.৮৬%
দিনাজপুর ৫৭.৪৯%
ময়মনসিংহ ৫১.৫৪%
মাদ্রাসা ৭৫.৬১%
কারিগরি ৬২.৬৭%

 

 

দুই দশকে ফলাফলের চিত্র

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী:

২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯.১৬%

২০০৬-২০১০ এর মধ্যে তা ৬৪% থেকে ৭৫% পর্যন্ত উঠেছিল

২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ সালে কিছুটা কমলেও ৭০%-এর কাছাকাছি ছিল

২০২০ সালে কোভিডের কারণে ‘বিশেষ প্রক্রিয়ায়’ সবাই পাস

২০২১-২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৮৪% ও ৯৫%

২০২৩ সালে কমে আসে ৮০%-এর নিচে

২০২৪ সালে ছিল ৭৭.৭৮%

আর ২০২৫ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ৫৮.৮৩%—দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

 

 

ফলাফলে বিপর্যয়: কারণ কী?

পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার পেছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা ও শিক্ষাবিদরা।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “এবার আমরা পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর এবং পূর্ণ সময় নিয়ে পরীক্ষা নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা হয়তো এতে মানিয়ে নিতে পারেনি।”

পাসের হার কমার অন্য কারণগুলো:

পূর্ববর্তী বছরের অতিরঞ্জিত ফলাফলের সংস্কৃতি থেকে বাস্তবতায় ফেরা

প্রকৃত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অনুসরণ

প্রশ্ন ও খাতা মূল্যায়নের ধরনে পরিবর্তন

কোচিং বা মুখস্থ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা

মাঠের রাজনীতি ও ক্লাসে অনুপস্থিতি

 

 

কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ফেল?

এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হয়েছেন তিনটি বিষয়ে:

হিসাববিজ্ঞান: ফেল করেছেন ৪১.৪৬%

ইংরেজি: ফেল করেছেন ৩৮.৮%

আইসিটি: ফেল করেছেন ২৭.২৮%

 

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল: আশঙ্কাজনক চিত্র

২০২৪ সালে: ১৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে

২০২৫ সালে: সংখ্যাটি কমে ৩৪৫টি

২০২৪ সালে: শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি

২০২৫ সালে: বেড়ে দাঁড়ায় ২০২টি

দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ৪৩টি কলেজে কেউই পাস করেনি। উদাহরণ হিসেবে বীরগঞ্জের কবিরাজ হাট কলেজের কথা বলা যায়, যেখানে ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও কেউ পাস করতে পারেনি।

 

শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি: বাস্তবতায় ফেরার সূচনা

বুয়েট, এনএসইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান মনে করেন, এটি কোনো বিপর্যয় নয়—বরং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ‘ধাক্কা’।

তিনি বলেন, “অতিরিক্ত জিপিএ-৫ বা অস্বাভাবিক ভালো ফলাফলের প্রবণতা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। এবার সেই মুখোশ খুলে গেছে। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা মানোন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।”

 

উপসংহার: বাস্তবতার মুখোমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা

শিক্ষা উপদেষ্টা ও বোর্ড কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিক্ষার মান উন্নয়নে এখন প্রয়োজন:

শিক্ষক প্রশিক্ষণ

শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণধর্মী চর্চা

মুখস্থভিত্তিক শিক্ষা কমিয়ে বাস্তব শেখাকে গুরুত্ব

গঠনমূলক কারিকুলাম ও পরিবেশ

শিক্ষক মূল্যায়ন ও উৎসাহ প্রদান

এইচএসসির ফলাফল হয়তো হতাশাজনক, তবে এটিই হতে পারে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের সূচনা।

 

সংক্ষেপে:
১. ফলাফল কম, কিন্তু বাস্তব।
২. মুখস্তের শিক্ষা থেকে বেরিয়ে বিশ্লেষণমূলক শিক্ষায় জোর।
৩. শিক্ষকদের উন্নয়নেই ভবিষ্যতের শিক্ষা।