পার্বত্য অঞ্চলেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত হলো ঈদে মিলাদুন্নবী
সারা দেশের মতো পার্বত্য জেলাগুলোতেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও বিভিন্ন আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও গাউসিয়া কমিটির যৌথ উদ্যোগে শহরে জশনে জুলুসের র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে হামদ, মিলাদ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা এ সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে জীবন পরিচালনার আহ্বান জানান।
কুতুবদিয়া কুতুব শরীফ দরবার, মহেশখালী, চকরিয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও জশনে জুলুস পালিত হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ-এর জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর ঘুরে ফিরে আসে। পরে কাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও ছাত্রদের মাঝে পাগড়ী প্রদান অনুষ্ঠান।
খাগড়াছড়ি জেলাতেও একই দিনে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জেলা শাখা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে জুলুস বের করে। এতে বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। র্যালি জুড়ে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে দরূদ পাঠ ও ধর্মীয় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা এবং মিলাদ মাহফিল, যেখানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।