পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বোনদের অভিযোগে ডিপজলের স্পষ্ট জবাব: ‘সবই মিথ্যা অপবাদ’
দেশের জনপ্রিয় খল অভিনেতা ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবার নিজ পরিবারঘটিত বিরোধে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে। পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি না করার অভিযোগ এনে তার তিন বোন সম্প্রতি গণমাধ্যমে অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে ডিপজল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া সেই স্ট্যাটাসে ডিপজল লেখেন, তার বিরুদ্ধে বোনেরা যে অপবাদ দিচ্ছেন তা সম্পূর্ণ সত্যবহির্ভূত। তিনি জানান, কাউকে অসম্মান না করেই বিষয়টির বাস্তবতা তুলে ধরতে চান এবং মামলার আইনি জবাব আইন অনুযায়ী দেবেন।
ডিপজল দাবি করেন, পরিবারে বোনদের প্রতি তিনি সবসময় সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা দেখিয়ে এসেছেন—এ বিষয়টি তার এলাকার অনেকেই জানেন। তিনি বলেন, এক বোন অভিযোগ করেছেন যে তার অসুস্থ সন্তানের দেখভাল কেউ করেনি, কিন্তু বাস্তবে সন্তানের চিকিৎসার জন্য তিনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বড় অংকের সহায়তা দিয়েছেন, এমনকি ভারতের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন। তার ভাষায়, “পর্দায় অভিনয় করি, জীবনে নয়—আজ বাস্তব জীবনে এমন অভিনয় দেখে হতবাক হয়েছি।”
আরেক বোনের দাবি—১১ বছর ধরে নাকি তাদের যোগাযোগ নেই। কিন্তু ডিপজল জানান, মাত্র দুই মাস আগেই তিনি ওই বোন ও তার সন্তানকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। তার মতে, “প্রতিটি সহযোগিতার হিসাব তো রাখিনি, তবে চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে।”
ডিপজলের প্রশ্ন—৩৫ বছর পর হঠাৎ কেন এই অভিযোগ? তিনি বলেন, যদি সত্যিই তাদের কোনো দাবি থাকত, তবে সম্পর্কের জায়গা থেকে সরাসরি বললেই তিনি আনন্দের সঙ্গে তার দ্বিগুণ দেওয়ার চেষ্টা করতেন। “আমার সাধ্যের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে দিই না; আর তারা তো আমার আপন ভাই-বোন,”—লেখেন তিনি।
স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, পর্দা রক্ষা করেন বলে যেই বোনের জন্য প্রতিটি অনুষ্ঠানে আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হতো, আজ তার মুখেই উল্টো অভিযোগ শুনতে হচ্ছে—যা তাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে।
ডিপজল সবাইকে মামলার রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানান। তার বিশ্বাস, আদালতেই সত্য স্পষ্ট হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বোনদের যদি কোনো প্রাপ্য অংশ থাকে, তা অবশ্যই বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি কষ্টের সঙ্গে লেখেন, “আমি খুব অসুস্থ। জীবনে যতটা পেরেছি, করেছি। আরও সময় পেলে হয়তো আরও করতাম। জীবনের এই সময়ে এমন আচরণ হৃদয়বিদারক।” শেষে তিনি আল্লাহর বিচারেই ভরসা রাখার কথা জানান।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর চার বোন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে তাদের পৈতৃক সম্পত্তির অংশ দেয়া হয়নি এবং ভয়ভীতি ও সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে তাদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

















