ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস Logo উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২০, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

যে সময় মুআনাকা করা সুন্নত

নিজস্ব সংবাদ :

সাধারণত কারও সাথে দেখা হলে মুআনাকা করা যায় না। সালাম ও মুসাফাহা করা সুন্নত। অনেক দিন পর যদি কারও সাথে দেখা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মুআনাকা করা সুন্নত।

 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসুল, আমাদের কেউ তার ভাইয়ের সাথে বা বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খাবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তার হাত ধরে তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি ২৭২৮)

 

খুব কাছের কেউ দীর্ঘ সফর থেকে ফিরে এলে বা দীর্ঘদিন পর দেখা হলে মুআনাকা বা কোলাকুলি করা যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, হজরত জায়েদ (রা.) সফর থেকে ফিরে এলে নবীজি (স.) তার সাথে মুআনাকা করেছিলেন।
 
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, জায়েদ ইবনে হারেসা মদিনায় এলেন। এ সময় আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে ছিলেন। জায়েদ ইবনে হারেসা (রা.) এসে ঘরের দরজায় আওয়াজ করলে আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালি গায়ে চাদর টানতে টানতে তার কাছে গেলেন। (আয়েশা (রা.) বলেন) আল্লাহর কসম! আমি তাকে এর পূর্বে বা পরে কখনো খালি গায়ে (জনসমক্ষে যেতে) দেখিনি। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জড়িয়ে ধরলেন ও চুমু খেলেন। (তিরমিজি ২৭৩২)
 
 
সাহাবিদের মধ্যেও মুআনাকার প্রচলন ছিল। হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সাহাবিরা পরস্পর মিলিত হলে মুসাফাহা করতেন। আর কোনো সফর থেকে ফিরলে মুআনাকা করতেন। (আলমু’জামুল কাবির লিততাবরানি ৯৭)
 
সাধারণভাবে সালাম ও মুসাফাহাই সাক্ষাতের সুন্নত। নবীজি (স.) বেশি বেশি সালাম দিতে বলেছেন। সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন,
মুসাফাহার ফজিলত সম্পর্কে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয় এবং তারা পরস্পর হাত মিলায় আল্লাহ তাআলার ওপর তাদের এই হক জন্মে যে, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করবেন এবং তাদের হাতগুলো পৃথক হওয়ার আগেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ ১২৪৫১)
  

ঈদের নামাজের পর মুআনাকা করা কি বিদআত?

 

আমাদের দেশে ঈদের নামাজের পরে, বিয়ের মজলিসে আকদের পরে বা ফরজ নামাজের পরে মুআনাকা করার প্রচলন আছে। এ সময়গুলোতে মুআনাকার প্রচলনের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না।
 
 
তবে কেউ যদি ঈদের নামাজের পর পরস্পর এমন কারও সাথে সাক্ষাৎ করেন যার সাথে অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে তাহলে মুআনাকা করা যাবে। এছাড়া এটা যদি ঈদের দিনের আমল মনে করে তাহলে তা বিদআত বলেছেন ওলামায়ে কেরাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
১০৯ বার পড়া হয়েছে

যে সময় মুআনাকা করা সুন্নত

আপডেট সময় ০৭:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সাধারণত কারও সাথে দেখা হলে মুআনাকা করা যায় না। সালাম ও মুসাফাহা করা সুন্নত। অনেক দিন পর যদি কারও সাথে দেখা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মুআনাকা করা সুন্নত।

 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসুল, আমাদের কেউ তার ভাইয়ের সাথে বা বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খাবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তার হাত ধরে তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি ২৭২৮)

 

খুব কাছের কেউ দীর্ঘ সফর থেকে ফিরে এলে বা দীর্ঘদিন পর দেখা হলে মুআনাকা বা কোলাকুলি করা যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, হজরত জায়েদ (রা.) সফর থেকে ফিরে এলে নবীজি (স.) তার সাথে মুআনাকা করেছিলেন।
 
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, জায়েদ ইবনে হারেসা মদিনায় এলেন। এ সময় আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে ছিলেন। জায়েদ ইবনে হারেসা (রা.) এসে ঘরের দরজায় আওয়াজ করলে আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালি গায়ে চাদর টানতে টানতে তার কাছে গেলেন। (আয়েশা (রা.) বলেন) আল্লাহর কসম! আমি তাকে এর পূর্বে বা পরে কখনো খালি গায়ে (জনসমক্ষে যেতে) দেখিনি। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জড়িয়ে ধরলেন ও চুমু খেলেন। (তিরমিজি ২৭৩২)
 
 
সাহাবিদের মধ্যেও মুআনাকার প্রচলন ছিল। হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সাহাবিরা পরস্পর মিলিত হলে মুসাফাহা করতেন। আর কোনো সফর থেকে ফিরলে মুআনাকা করতেন। (আলমু’জামুল কাবির লিততাবরানি ৯৭)
 
সাধারণভাবে সালাম ও মুসাফাহাই সাক্ষাতের সুন্নত। নবীজি (স.) বেশি বেশি সালাম দিতে বলেছেন। সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন,
মুসাফাহার ফজিলত সম্পর্কে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয় এবং তারা পরস্পর হাত মিলায় আল্লাহ তাআলার ওপর তাদের এই হক জন্মে যে, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করবেন এবং তাদের হাতগুলো পৃথক হওয়ার আগেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ ১২৪৫১)
  

ঈদের নামাজের পর মুআনাকা করা কি বিদআত?

 

আমাদের দেশে ঈদের নামাজের পরে, বিয়ের মজলিসে আকদের পরে বা ফরজ নামাজের পরে মুআনাকা করার প্রচলন আছে। এ সময়গুলোতে মুআনাকার প্রচলনের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না।
 
 
তবে কেউ যদি ঈদের নামাজের পর পরস্পর এমন কারও সাথে সাক্ষাৎ করেন যার সাথে অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে তাহলে মুআনাকা করা যাবে। এছাড়া এটা যদি ঈদের দিনের আমল মনে করে তাহলে তা বিদআত বলেছেন ওলামায়ে কেরাম।