রাকসু নির্বাচন: ফল যাই হোক, মেনে নেবে শিবির ঘরানার প্যানেল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে যে ফলই আসুক না কেন, তা মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা জানান, তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত আচরণবিধি মেনে। পাশাপাশি তারা কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন— যদি আচরণবিধিতে সংশোধনের প্রয়োজন মনে হয়, তবে তা হালনাগাদ করে পুনরায় প্রকাশ করার জন্য।
জোটের নেতারা বলেন, “আমরা চাই নির্বাচন কমিশন আগেভাগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।”
তারা আরও জানান, “ফলাফল যেমনই হোক না কেন, সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট তা মেনে নিতে প্রস্তুত।” এ সময় তারা নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের প্রতি দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন, যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন— মোট ভোটারের ৩৯.১ শতাংশ। তবে প্রার্থীর ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্ব তুলনামূলকভাবে কম। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ২৪৮ জন, এর মধ্যে নারী মাত্র ২৫ জন (১০ শতাংশ)।
সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ৮ জন, যা প্রায় ১৩.৭ শতাংশ। হল সংসদে মোট ২৫৫টি পদ— এর মধ্যে ছাত্রীদের ৬টি হলে ৯০টি, আর ছাত্রদের ১১টি হলে ১৬৫টি পদ রয়েছে। মেয়েদের ৯০টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৯ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ৩৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৩৫ বছর পর আগামী ১৬ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ নির্বাচন। সেদিন নারী ভোটাররা ৬টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।