ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo শুক্র ও শনিবার খোলা থাকবে কাস্টম হাউজ, চলবে আমদানি-রফতানি Logo রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুন কি ক্ষমা পেতে পারেন? Logo জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে একমত দলগুলো Logo পটুয়াখালীর চারটি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি Logo পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফের চায় নির্বাচন কমিশন Logo তৃতীয় দিনেও সন্ধান মেলেনি চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের Logo ‘ইংরেজি এত ভালো শিখলেন কোথায়?’—লাইবেরিয়ান প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক Logo রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, প্রাণ গেল দুই পাইলটের Logo অরিয়েন্টেশন বয়কট: ঢামেকের ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ তলব Logo ৬০০ বছর আগের বিলুপ্ত মোয়া পাখির পুনরুত্থান সম্ভব?

রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, প্রাণ গেল দুই পাইলটের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি : সংগৃহিত

ভারতের রাজস্থানের চুরু জেলায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটির দুই পাইলট। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

নিহত দুই পাইলট হলেন স্কোয়াড্রন লিডার লোকেন্দ্র সিং সিধু এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিশি রাজ সিং। বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাইলটরা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে আশপাশের কোনো বেসামরিক স্থাপনা বা জনসাধারণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার তদন্তে একটি কোর্ট অব ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে।”

জেলা পুলিশ সুপার জয় যাদব জানিয়েছেন, বিমানটি খুব নিচু উচ্চতায় উড়ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার আগমুহূর্তেও বিমানটি মাটি থেকে বেশ কম উচ্চতায় উড়ছিল।

বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব নিচু উচ্চতায় বিমান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ বা অদৃশ্য কোনো বাধা (যেমন মোবাইল টাওয়ার বা উইন্ডমিল) এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বছর মার্চ মাসের পর এটিই জাগুয়ার মডেলের তৃতীয় দুর্ঘটনা। গত ৭ মার্চ হরিয়ানার আম্বালা থেকে ওড়ার পরপরই একটি জাগুয়ার বিধ্বস্ত হয়, তবে তখন পাইলট সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

এরপর ২ এপ্রিল গুজরাটের জামনগরে আরও একটি জাগুয়ার ভেঙে পড়লে একজন পাইলট নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে ছয়টি স্কোয়াড্রনে এই বিমান চালু আছে। যদিও এই বিমানগুলোর ইঞ্জিন আপগ্রেডের পরিকল্পনা ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল, কিন্তু উচ্চ ব্যয়ের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এখনো পুরনো অ্যাডার এমকে ৮১১ ইঞ্জিনে চলাচল করছে এসব যুদ্ধবিমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, প্রাণ গেল দুই পাইলটের

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ভারতের রাজস্থানের চুরু জেলায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটির দুই পাইলট। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

নিহত দুই পাইলট হলেন স্কোয়াড্রন লিডার লোকেন্দ্র সিং সিধু এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিশি রাজ সিং। বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাইলটরা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে আশপাশের কোনো বেসামরিক স্থাপনা বা জনসাধারণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার তদন্তে একটি কোর্ট অব ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে।”

জেলা পুলিশ সুপার জয় যাদব জানিয়েছেন, বিমানটি খুব নিচু উচ্চতায় উড়ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার আগমুহূর্তেও বিমানটি মাটি থেকে বেশ কম উচ্চতায় উড়ছিল।

বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব নিচু উচ্চতায় বিমান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ বা অদৃশ্য কোনো বাধা (যেমন মোবাইল টাওয়ার বা উইন্ডমিল) এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বছর মার্চ মাসের পর এটিই জাগুয়ার মডেলের তৃতীয় দুর্ঘটনা। গত ৭ মার্চ হরিয়ানার আম্বালা থেকে ওড়ার পরপরই একটি জাগুয়ার বিধ্বস্ত হয়, তবে তখন পাইলট সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

এরপর ২ এপ্রিল গুজরাটের জামনগরে আরও একটি জাগুয়ার ভেঙে পড়লে একজন পাইলট নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে ছয়টি স্কোয়াড্রনে এই বিমান চালু আছে। যদিও এই বিমানগুলোর ইঞ্জিন আপগ্রেডের পরিকল্পনা ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল, কিন্তু উচ্চ ব্যয়ের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এখনো পুরনো অ্যাডার এমকে ৮১১ ইঞ্জিনে চলাচল করছে এসব যুদ্ধবিমান।