ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo থানচিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সহায়তা Logo কেউ যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল Logo নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন Logo অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছেন কোহলিরা Logo যশোরে নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের ১২৫ নেতাকর্মী কারাগারে Logo আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দল নিয়ে নির্বাচন হবে, তারা ফিরবে বিচারের পর: আব্দুস সালাম Logo সারজিসের আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দাবি Logo পরিবর্তন আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন Logo ইয়েমেনে দফায় দফায় বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জনশক্তি’ নাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান সামান্তার

রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা জানালেন গভর্নর

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা জানালেন গভর্নর।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং স্থিতিশীল হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার (২০ অক্টোবর) ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আগের সরকারের আমলে রিজার্ভ প্রতি মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) ডলার করে কমে আসছিল, তবে এখন তা একটি ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরছে।’

 

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘সার, বিদ্যুৎ ও আদানি-শেভরনের বকেয়া পাওনার জন্য এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।’
 
শুধু গত দুই মাসেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবার বকেয়া ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন (১৮০ কোটি) ডলার পরিশোধ করে অপরিশোধিত বিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন (২৫০ কোটি) ডলার থেকে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ডলারে নামিয়ে এনেছে।
 

গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
 
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর–ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণমুক্ত হওয়া। তিনি বলেন, ‘এটি অর্জন করা সম্ভব হলে, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
 
এই বকেয়া পরিশোধ করলে অর্থনীতির ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ত্বরান্বিত হবে। অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অবশ্য দেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; যা এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। 
 
তবে তা সত্ত্বেও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ঋণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
২৭ বার পড়া হয়েছে

রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা জানালেন গভর্নর

আপডেট সময় ০৯:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা জানালেন গভর্নর।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং স্থিতিশীল হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার (২০ অক্টোবর) ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আগের সরকারের আমলে রিজার্ভ প্রতি মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) ডলার করে কমে আসছিল, তবে এখন তা একটি ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরছে।’

 

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘সার, বিদ্যুৎ ও আদানি-শেভরনের বকেয়া পাওনার জন্য এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।’
 
শুধু গত দুই মাসেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবার বকেয়া ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন (১৮০ কোটি) ডলার পরিশোধ করে অপরিশোধিত বিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন (২৫০ কোটি) ডলার থেকে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ডলারে নামিয়ে এনেছে।
 

গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
 
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর–ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণমুক্ত হওয়া। তিনি বলেন, ‘এটি অর্জন করা সম্ভব হলে, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
 
এই বকেয়া পরিশোধ করলে অর্থনীতির ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ত্বরান্বিত হবে। অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অবশ্য দেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; যা এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। 
 
তবে তা সত্ত্বেও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ঋণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।