রোববার সন্ধ্যায় সাড়া দিতে বললেন ট্রাম্প — হামাসকে চূড়ান্ত সময়সীমা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে একটি ২০ দফা পদক্ষেপে সায় জানাতে রোববার সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন এবং সময়মত সাড়া না দিলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রস্তাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রকাশ করা হয়—সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রাঙ্গণে তিনি ফিলিস্তিন ও গাজা সংকট নিয়ে আরব ও মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং পরবর্তীতে আইজলিয়ান ছকে ২০ দফার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। ওই পরিকল্পনায় তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, বন্দী ও নিহত সব জিম্মির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্তান্তর, হামাসের অস্ত্র প্রত্যাহার এবং গাজার উপর অস্থায়ী আন্তর্জাতিক-নিয়ন্ত্রিত অন্তর্বর্তী শাসন প্রতিষ্ঠার মতো ধারাগুলো রয়েছে।
পাকিস্তান, কাতার, মিশর, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য–এরও নয় — (এমন আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো) সহ অন্যান্যরা ওই পরিকল্পনার কথা জানায় বা ঐকমত্যের সংবেদ দিয়েছে বলে বলা হলেও, ট্রাম্প বলেন তারা এখন শুধু হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারিতে লিখেছেন, যদি এই ‘অবশেষ সুযোগ’ গ্রহণ না করা হয় তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে “যা আগে কেউ দেখেনি।” তিনি একই সঙ্গে গাজার সাধারণ জনগণকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সতর্ক করে সাহায্যপ্রার্থীদের যথাযথ যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা—রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল—বলেছেন যে তারা মার্কিন প্রস্তাবের বিষয়ে শিগগিরই তাদের অবস্থান তুলে ধরবে, তবে সময়ের চাপের ভেতরে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না এবং তারা ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা করে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও আলোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।