হানিয়া আমির এবার জাতিসংঘের নারী শুভেচ্ছাদূত
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির এখন জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন পাকিস্তানের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অবহেলিত ও প্রান্তিক নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার এ যাত্রা শুরু হলো।
২০১৫ সালে মুনিবা মাজারি প্রথম পাকিস্তানি নারী হিসেবে এই সম্মান পান। এরপর হানিয়াই হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি জাতিসংঘের এই মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকায় আসীন হলেন।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে হানিয়া নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকারের প্রচার এবং লিঙ্গবৈষম্য রোধে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবেন। তিনি চান, নিজের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নারীদের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করতে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত হানিয়া জানান, সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশ নেওয়া তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চান, সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নারীদের পাশে থাকবেন সবসময়।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে হানিয়া বলেন, “জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হওয়া শুধু আমার জন্য সম্মানের বিষয় নয়, এটা এমন সব নারীর কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার সুযোগ, যারা অনেক সময় শোনা যায় না। আমি এই ভূমিকায় আসতে পেরে গর্বিত।”
ইউএন উইমেনের পাকিস্তান প্রতিনিধি জামশেদ এম. কাজি অভিনেত্রী হানিয়ার ওপর আস্থা রাখছেন। তিনি মনে করেন, হানিয়ার জনপ্রিয়তা, সাহসিকতা এবং মানুষের সঙ্গে সংযোগের ক্ষমতা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ‘গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর, এই আন্তর্জাতিক দায়িত্ব হানিয়াকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।