ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ বছর পর সিলেটের ফখরুল হত্যার রায়, যাবজ্জীবন হলো ছয় জনের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

১৮ বছর পর সিলেটের ফখরুল হত্যার রায়, যাবজ্জীবন হলো ছয় জনের।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় ফখরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ছয় জনের যাবজ্জীবন ও এক জনের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী উরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অপর ৬ আসামি ছিলেন পলাতক।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ জন।

 

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে মাহমদ আলী উরফে কাছা (৪৫), একই এলাকার মৃত তৌফিক মিয়ার ছেলে ছাবের আহমদ (২৪), তার সহোদর জুবের আহমদ (২৬), মৃত রফিক মিয়ার ছেলে আফিক মিয়া (৩০), আখলিছের ছেলে সুহেল ও মৃত লালা মিয়ার ছেলে শামীম চৌধুরী (৩৫) এবং এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ইন্তাজ (৪০) একই গ্রামের মৃত গণির ছেলে।

 
মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জের জামালপুর গ্রামের মনির আলীর ছেলে শাহিদ আলী, মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মাফিক (২৬), একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে কাইয়ুম (২২), সালেহ আহমদের স্ত্রী আমারজান বিবি (২২) ও মৃত রইছ আলীর ছেলে তজম্মুল আলী (৪০)।
 
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন।
 
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী উরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অপর ৬ আসামি ছিলেন পলাতক।
 
আর মামলা চলাকালে একই এলাকার মৃত জোয়াদ উল্লার ছেলে আখলিছ (৪৫) ও সিরাজ আলীর ছেলে মনির আলী (৩৫) মারা যান।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী সুহেল।
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫) জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আসামিরা শক্রতা ও মামলা-মোকদ্দমার জেরে পরিকল্পিতভাবে ফখরুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ফখরুল ইসলাম আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে খাইশাপাড়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা কোপাতে থাকেন।
 
 
একপর্যায়ে ফখরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে সহোদর আব্দুল নুর ও বোন দিলারা বেগম এগিয়ে গেলে আসামিরা মারধর করে তাদের গুরুতর আহত করে।
 
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফখরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম উরফে সিরাতুল বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে রোববার আদালত রায় ঘোষণা করেন।
 
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
৫ বার পড়া হয়েছে

১৮ বছর পর সিলেটের ফখরুল হত্যার রায়, যাবজ্জীবন হলো ছয় জনের

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

১৮ বছর পর সিলেটের ফখরুল হত্যার রায়, যাবজ্জীবন হলো ছয় জনের।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় ফখরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ছয় জনের যাবজ্জীবন ও এক জনের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী উরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অপর ৬ আসামি ছিলেন পলাতক।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ জন।

 

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে মাহমদ আলী উরফে কাছা (৪৫), একই এলাকার মৃত তৌফিক মিয়ার ছেলে ছাবের আহমদ (২৪), তার সহোদর জুবের আহমদ (২৬), মৃত রফিক মিয়ার ছেলে আফিক মিয়া (৩০), আখলিছের ছেলে সুহেল ও মৃত লালা মিয়ার ছেলে শামীম চৌধুরী (৩৫) এবং এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ইন্তাজ (৪০) একই গ্রামের মৃত গণির ছেলে।

 
মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জের জামালপুর গ্রামের মনির আলীর ছেলে শাহিদ আলী, মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মাফিক (২৬), একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে কাইয়ুম (২২), সালেহ আহমদের স্ত্রী আমারজান বিবি (২২) ও মৃত রইছ আলীর ছেলে তজম্মুল আলী (৪০)।
 
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন।
 
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী উরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অপর ৬ আসামি ছিলেন পলাতক।
 
আর মামলা চলাকালে একই এলাকার মৃত জোয়াদ উল্লার ছেলে আখলিছ (৪৫) ও সিরাজ আলীর ছেলে মনির আলী (৩৫) মারা যান।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী সুহেল।
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫) জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আসামিরা শক্রতা ও মামলা-মোকদ্দমার জেরে পরিকল্পিতভাবে ফখরুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ফখরুল ইসলাম আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে খাইশাপাড়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা কোপাতে থাকেন।
 
 
একপর্যায়ে ফখরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে সহোদর আব্দুল নুর ও বোন দিলারা বেগম এগিয়ে গেলে আসামিরা মারধর করে তাদের গুরুতর আহত করে।
 
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফখরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম উরফে সিরাতুল বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে রোববার আদালত রায় ঘোষণা করেন।