চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহতের ঘটনায় আটক ৩০
চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহতের ঘটনায় আটক ৩০।
চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও এক আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর নগরের কোতোয়ালী থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাদের আটক করে। এদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৬ নেতাকর্মীও, যাদের আটক করা হয়েছে চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র রইছ উদ্দিন।
উপপুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। কার ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। দুইটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এক আইনজীবী নিহত হয়।
নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫)। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।