ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গায়ে ধাক্কা লাগায় চিকিৎসককে মারধর, ভাঙল দাঁত

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

গায়ে ধাক্কা লাগায় চিকিৎসককে মারধর, ভাঙল দাঁত।

ফরিদপুরে মো. মোত্তাকিম (২১) নামে এক নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে শাহীন জোয়ার্দার নামের এক চিকিৎসকের গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারধরে আহত হন চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার। এছাড়া তার দুটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

আহত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এছাড়া সে (শাহীন জোয়ার্দার) ফরিদপুর শহরের কমরপুর এলাকার বাসিন্দা।

অন্যদিকে, মারধরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা মোত্তাকিম ফরিদপুরের বেসরকারি জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন করছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীন জোয়ার্দার হাসপাতালটির ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এসময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিম নিচে থেকে উপরে উঠছিলেন। তখন অসাবধানতাবশত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোত্তাকিনের। তখন উত্তেজিত মুত্তাকিনকে জামার কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক।

পরে বাড়ি ফিরে মুত্তাকিম তার কিছু পরিচিতজনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফের গেলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারকে মারধর করেন। এসময় চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে যায়।

এব্যাপারে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেন, ‘শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুরের একজন স্বনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক। তাকে যে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এছাড়া আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের ডিসি, এসপি সহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানাবো। এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’


এব্যাপারে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
৩ বার পড়া হয়েছে

গায়ে ধাক্কা লাগায় চিকিৎসককে মারধর, ভাঙল দাঁত

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গায়ে ধাক্কা লাগায় চিকিৎসককে মারধর, ভাঙল দাঁত।

ফরিদপুরে মো. মোত্তাকিম (২১) নামে এক নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে শাহীন জোয়ার্দার নামের এক চিকিৎসকের গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারধরে আহত হন চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার। এছাড়া তার দুটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

আহত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এছাড়া সে (শাহীন জোয়ার্দার) ফরিদপুর শহরের কমরপুর এলাকার বাসিন্দা।

অন্যদিকে, মারধরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা মোত্তাকিম ফরিদপুরের বেসরকারি জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন করছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীন জোয়ার্দার হাসপাতালটির ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এসময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিম নিচে থেকে উপরে উঠছিলেন। তখন অসাবধানতাবশত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোত্তাকিনের। তখন উত্তেজিত মুত্তাকিনকে জামার কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক।

পরে বাড়ি ফিরে মুত্তাকিম তার কিছু পরিচিতজনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফের গেলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারকে মারধর করেন। এসময় চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে যায়।

এব্যাপারে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেন, ‘শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুরের একজন স্বনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক। তাকে যে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এছাড়া আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের ডিসি, এসপি সহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানাবো। এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’


এব্যাপারে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’