ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo বাগেরহাটে টেলিস্কোপে চাঁদ-তারা দেখে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস Logo ওমরজাইয়ের দাপটেই আফগানিস্তানের জয়, বাংলাদেশ হোঁচট খেল প্রথম ওয়ানডেতে Logo শুধু হামজা নয়, বাংলাদেশের পুরো দলকেই নজরে রাখছেন হংকং কোচ Logo রাতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Logo এক লাফে ৬,৯০৬ টাকা বৃদ্ধি, ভরিতে স্বর্ণের নতুন রেকর্ড দাম Logo পাকিস্তানি অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিধন Logo রাশিয়ার হাতে যুদ্ধের লাগাম, ইউক্রেনের পাল্টা দাবি Logo এ বছরের রসায়ন নোবেল: তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo শেখ হাসিনার মামলায় নতুন অধ্যায়: রোববার থেকে যুক্তিতর্ক

ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিশ্লেষকরা—পুতিনের সুরই কি শোনা যাচ্ছে?

নিজস্ব সংবাদ :

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ময়কর মন্তব্যে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ক্রাইমিয়া আর কখনো ইউক্রেনের অধীনে ফিরে আসবে না, কারণ এটি অনেক আগেই রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। এ মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে—বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, ট্রাম্প কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষাই ব্যবহার করছেন?

এই বক্তব্যটি তিনি সোমবার (১৮ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে।

ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “জেলেনস্কি চাইলে যুদ্ধ খুব সহজেই শেষ করতে পারেন। ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোতে প্রবেশের কোনো পথ খোলা নেই। আর ২০১২ সালে বিনা প্রতিরোধে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রাইমিয়াও আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।”

তার এমন মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, এসব বক্তব্য রাশিয়ার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় তার সাম্প্রতিক আলোচনার পর। ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে তিনি স্থায়ী শান্তিচুক্তির ওপর জোর দেন।

এদিকে, ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “আগামীকাল হোয়াইট হাউজে ঐতিহাসিক দিন হতে যাচ্ছে। ইউরোপের এতজন নেতা একসঙ্গে কখনও এখানে আসেননি। তাদের স্বাগত জানাতে পেরে আমি গর্বিত।”

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও দ্রুতসময়ে এতজন রাষ্ট্রপ্রধানের আমন্ত্রণ এবং আগমন অনেককেই বিস্মিত করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবারের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে এবং জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় তা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
৬৮ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিশ্লেষকরা—পুতিনের সুরই কি শোনা যাচ্ছে?

আপডেট সময় ০২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ময়কর মন্তব্যে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ক্রাইমিয়া আর কখনো ইউক্রেনের অধীনে ফিরে আসবে না, কারণ এটি অনেক আগেই রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। এ মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে—বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, ট্রাম্প কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষাই ব্যবহার করছেন?

এই বক্তব্যটি তিনি সোমবার (১৮ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে।

ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “জেলেনস্কি চাইলে যুদ্ধ খুব সহজেই শেষ করতে পারেন। ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোতে প্রবেশের কোনো পথ খোলা নেই। আর ২০১২ সালে বিনা প্রতিরোধে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রাইমিয়াও আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।”

তার এমন মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, এসব বক্তব্য রাশিয়ার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় তার সাম্প্রতিক আলোচনার পর। ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে তিনি স্থায়ী শান্তিচুক্তির ওপর জোর দেন।

এদিকে, ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “আগামীকাল হোয়াইট হাউজে ঐতিহাসিক দিন হতে যাচ্ছে। ইউরোপের এতজন নেতা একসঙ্গে কখনও এখানে আসেননি। তাদের স্বাগত জানাতে পেরে আমি গর্বিত।”

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও দ্রুতসময়ে এতজন রাষ্ট্রপ্রধানের আমন্ত্রণ এবং আগমন অনেককেই বিস্মিত করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবারের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে এবং জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় তা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে।