দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর আলোচনায় কাতারের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার পর দেশটির সামরিক সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের ১২টি যুদ্ধবিমান কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এই হামলায় অংশ নেয়। যদিও ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কাতারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ দেখা যায়নি, যা দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই সামনে এনেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তেলসম্পদে সমৃদ্ধ কাতার অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দেশ। আরব অঞ্চলে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে মঙ্গলবার দোহায় কূটনৈতিক এলাকায় ইসরায়েলি হামলা দেশটির নিরাপত্তা প্রস্তুতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।
গ্লোবাল পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে কাতারের অবস্থান ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৭২তম। তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রতিরক্ষা ক্ষমতা থাকলেও, সামরিক শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা ইসরায়েলের (১৫তম স্থান) সঙ্গে এই ব্যবধান চোখে পড়ার মতো।
বর্তমানে কাতারের আকাশসীমা রক্ষায় ১২৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে, যার মধ্যে ৩১টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেট (রাফায়েল ও টাইফুন) অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আছে ৪৬টি সামরিক হেলিকপ্টার ও ১২টি পরিবহন বিমান। দেশটি যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে আরও সামরিক বিমান কেনার পরিকল্পনাও করছে।
কাতারের সেনাবাহিনীতে বর্তমানে সক্রিয় সদস্য প্রায় ৬৮ হাজার, মোট সদস্য সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। সামরিক বহরে রয়েছে প্রায় ১০০টি ট্যাঙ্ক ও ৫,০০০-এরও বেশি সাঁজোয়া যান।
তবে সমুদ্রপথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কাতার তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে। তাদের নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে আছে ১০৫টি নজরদারি জাহাজ ও মাত্র ৪টি করভেট। এ ছাড়া ড্রোন, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প পাল্লার বিভিন্ন মিসাইল থাকলেও কাতারের কাছে নেই কোনো ব্যালিস্টিক বা পারমাণবিক অস্ত্র।