ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

গলাচিপায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ ও ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম বন্ধ ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মেজবাহ উদ্দিনের অপসারণ অন্যতম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এলাকাবাসী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাসপাতাল এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, নিরব হোসেন, নাসুরুল্লাহ নাসু এবং বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলি আক্তারসহ অনেকে। বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং সেবার মানের চরম অবনতি ঘটেছে।

তাঁরা আরও বলেন, হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের সংকট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জেনারেটর বিকল থাকা এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের মতো অনিয়ম চলছে। বক্তাদের অভিযোগ, ডা. মেজবাহ উদ্দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাত করেছেন।

আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউএইচএফপিও ডা. মেজবাহ উদ্দিনকে অপসারণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে গত তিন বছরের অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ, টয়লেট পরিষ্কার রাখা, সরকারি বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ, শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ এবং ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তাঁরা।

তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে ছিল—পুরনো ভবনের সংস্কার, সিজার সুবিধা চালু, আধুনিক ল্যাব ও এক্স-রে রুম স্থাপন, ডিজিটাল টোকেন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু করা, দুটি সচল অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা আমরা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। স্থানীয় পর্যায়ে যা করা সম্ভব, তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “অপসারণের দাবিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত; একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
২৪ বার পড়া হয়েছে

গলাচিপায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ ও ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম বন্ধ ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মেজবাহ উদ্দিনের অপসারণ অন্যতম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এলাকাবাসী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাসপাতাল এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, নিরব হোসেন, নাসুরুল্লাহ নাসু এবং বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলি আক্তারসহ অনেকে। বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং সেবার মানের চরম অবনতি ঘটেছে।

তাঁরা আরও বলেন, হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের সংকট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জেনারেটর বিকল থাকা এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের মতো অনিয়ম চলছে। বক্তাদের অভিযোগ, ডা. মেজবাহ উদ্দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাত করেছেন।

আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউএইচএফপিও ডা. মেজবাহ উদ্দিনকে অপসারণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে গত তিন বছরের অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ, টয়লেট পরিষ্কার রাখা, সরকারি বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ, শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ এবং ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তাঁরা।

তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে ছিল—পুরনো ভবনের সংস্কার, সিজার সুবিধা চালু, আধুনিক ল্যাব ও এক্স-রে রুম স্থাপন, ডিজিটাল টোকেন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু করা, দুটি সচল অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা আমরা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। স্থানীয় পর্যায়ে যা করা সম্ভব, তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “অপসারণের দাবিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত; একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে।”