ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অত্যাধুনিক ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

অত্যাধুনিক ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক।

প্রথমবারের মতো চালকবিহীন বা ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক, যা দেশটির ক্রমেই বাড়তে থাকা সামরিক সামর্থ্যের নিদর্শন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তুরস্কের মেটেকসান ডিফেন্স ও আরেস শিপইয়ার্ড যৌথভাবে উৎপাদন করছে উলাক নামে অভিহিত ‘আর্মড আনম্যানড সার্ফেস ভেহিকল’। যা মূলত চালকবিহীন উচ্চগতিসম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত নৌযান। এ ধরনের নৌযানকে ড্রোন বোট হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

তুরস্কের বাইরে বিদেশি রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমবারের মতো এই উলাক ড্রোন বোট কিনতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ কাতার। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রদর্শনী ‘মিলিপোল কাতার ২০২৪’ এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

এই উলাক ড্রোন বোটগুলো ব্যবহার করবে কাতারের উপকূলরক্ষী বা কোস্টগার্ড বাহিনী। প্রতিরক্ষা, নজরদারি কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হবে এসব ড্রোন বোট। এসব ড্রোন বোট ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, রাডার, কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক সফটওয়্যার সিস্টেমে সজ্জিত।
 
আরেস শিপইয়ার্ডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওগুঝান পেহলিভানলি বলেন, তারা বিভিন্ন মডেলের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ড্রোন বোট তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে এই খাতে তুরস্ককে অগ্রগামী রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।
অপরদিকে মেটেকসান ডিফেন্স অটোনেমাস সিস্টেমস-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুকরু সেরকান সেভিম বলেন, তুরস্কের প্রথম চালকবিহীন নৌযান রফতানি করতে পারায় তারা সম্মানিত বোধ করছেন। তুরস্ক ও তার মিত্রদেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশের চাহিদা অনুযায়ী সর্বশেষ প্রযুক্তির চালকবিহীন নৌযান তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই তাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বলে জানান তিনি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
৯ বার পড়া হয়েছে

অত্যাধুনিক ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

অত্যাধুনিক ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক।

প্রথমবারের মতো চালকবিহীন বা ড্রোন নৌযুদ্ধযান রফতানি করল তুরস্ক, যা দেশটির ক্রমেই বাড়তে থাকা সামরিক সামর্থ্যের নিদর্শন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তুরস্কের মেটেকসান ডিফেন্স ও আরেস শিপইয়ার্ড যৌথভাবে উৎপাদন করছে উলাক নামে অভিহিত ‘আর্মড আনম্যানড সার্ফেস ভেহিকল’। যা মূলত চালকবিহীন উচ্চগতিসম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত নৌযান। এ ধরনের নৌযানকে ড্রোন বোট হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

তুরস্কের বাইরে বিদেশি রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমবারের মতো এই উলাক ড্রোন বোট কিনতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ কাতার। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রদর্শনী ‘মিলিপোল কাতার ২০২৪’ এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

এই উলাক ড্রোন বোটগুলো ব্যবহার করবে কাতারের উপকূলরক্ষী বা কোস্টগার্ড বাহিনী। প্রতিরক্ষা, নজরদারি কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হবে এসব ড্রোন বোট। এসব ড্রোন বোট ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, রাডার, কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক সফটওয়্যার সিস্টেমে সজ্জিত।
 
আরেস শিপইয়ার্ডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওগুঝান পেহলিভানলি বলেন, তারা বিভিন্ন মডেলের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ড্রোন বোট তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে এই খাতে তুরস্ককে অগ্রগামী রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।
অপরদিকে মেটেকসান ডিফেন্স অটোনেমাস সিস্টেমস-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুকরু সেরকান সেভিম বলেন, তুরস্কের প্রথম চালকবিহীন নৌযান রফতানি করতে পারায় তারা সম্মানিত বোধ করছেন। তুরস্ক ও তার মিত্রদেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশের চাহিদা অনুযায়ী সর্বশেষ প্রযুক্তির চালকবিহীন নৌযান তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই তাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।