ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি।

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা শপথকে সমুন্নত রাখতে চাই। এই দায়িত্ব একটি বড় সুযোগ দিয়েছে। চাকরি জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতরাং সামনে চ্যালেঞ্জ আসলেও টা মোকাবেলা করবো।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচনের আগে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। সংবিধান ঠিক না হলে নির্বাচন যাত্রা কঠিন হবে। এ সময় তরুণ প্রজন্মকে ভোটার তালিকায় আনার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোথায় কোথায় সংস্কার করতে হবে সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে। এরপর সেখান থেকে গ্রহণযোগ্য সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনি মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে। বিষয়টির ফায়সালা হলে সবাই তা দেখতে পারবেন।

এর আগে, রোববার দুপুরে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন এবং চারজন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ পড়ান। শপথ নেয়া চারজন নির্বাচন কমিশনার হলেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

গত বৃহস্পতিবার ১৪ তম সিইসি হিসেবে এ এম এম নাসির উদ্দীন ও এই চারজন নির্বাচন কমিশনরকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের একমাস পর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন একযোগে পদত্যাগ করে। তারপরই নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসির জন্য প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা দেয়া হয়। সেখান থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
২৫ বার পড়া হয়েছে

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি

আপডেট সময় ০৬:১৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি।

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা শপথকে সমুন্নত রাখতে চাই। এই দায়িত্ব একটি বড় সুযোগ দিয়েছে। চাকরি জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতরাং সামনে চ্যালেঞ্জ আসলেও টা মোকাবেলা করবো।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচনের আগে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। সংবিধান ঠিক না হলে নির্বাচন যাত্রা কঠিন হবে। এ সময় তরুণ প্রজন্মকে ভোটার তালিকায় আনার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোথায় কোথায় সংস্কার করতে হবে সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে। এরপর সেখান থেকে গ্রহণযোগ্য সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনি মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে। বিষয়টির ফায়সালা হলে সবাই তা দেখতে পারবেন।

এর আগে, রোববার দুপুরে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন এবং চারজন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ পড়ান। শপথ নেয়া চারজন নির্বাচন কমিশনার হলেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

গত বৃহস্পতিবার ১৪ তম সিইসি হিসেবে এ এম এম নাসির উদ্দীন ও এই চারজন নির্বাচন কমিশনরকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের একমাস পর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন একযোগে পদত্যাগ করে। তারপরই নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসির জন্য প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা দেয়া হয়। সেখান থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন।