ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গুলিবর্ষণে নতুন তথ্য: ওসমান হাদীর ওপর হামলায় ব্যবহৃত বাইকের চালক শনাক্তের দাবি দ্য ডিসেন্টের Logo আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo পঞ্চগড়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ভাটা উচ্ছেদ Logo সরকার আন্তরিক হলে ২৪ ঘণ্টায় হামলাকারী গ্রেপ্তার সম্ভব: রুমিন ফারহানা Logo নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও কমিশনারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাইল ইসি Logo নোয়াখালী এক্সপ্রেসে অধিনায়কত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা, সৌম্য সরকার প্রথম পছন্দ হলেও বিকল্প ভাবনায় দল Logo জিওস্টার চুক্তি নিয়ে জল্পনার অবসান, অবস্থান পরিষ্কার করলো আইসিসি Logo হাদির ওপর হামলার প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে, নির্ধারিত সময়েই ভোট: ইসি সদস্য Logo জার্মানির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থায় সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত থাকার অভিযোগ Logo মেসি উন্মাদনায় অস্থির যুবভারতী, বিশৃঙ্খলার মুখে ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়লেন মহাতারকা

আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

নিজস্ব সংবাদ :

১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের। শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকসহ বহু গুণী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা কিংবা গুম করা হয়।

বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে অনেক বুদ্ধিজীবীর নিথর দেহ পাওয়া যায়। তবে বহু শহীদ বুদ্ধিজীবীর মরদেহ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোতে ছিল ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন। গুলি, বেয়নেটের আঘাত, জবাইসহ নানা নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে তাদের হত্যা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্বজনরাও প্রিয়জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন এ এন এম মুনীর চৌধুরী, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. জিসি দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, এস এম রাশীদুল হাসান, ড. শাহাদাত আলী, ড. এম এ খায়ের, এ আর খান খাদিম, ড. এন এম ফয়জুল মাহী, ফজলুর রহমান খান, এ এন এম মুনীরুজ্জামান, ড. সিরাজুল হক খান, মো. সাদেক, শরাফত আলী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মীর আবদুল কাইয়ুম, হবিবর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও ড. আবুল কালাম আজাদ।

সাংবাদিক শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, শেখ আবদুল মান্নান (লাডু), সৈয়দ নজমুল হক, এম আখতার, আবুল বাসার, চিশতী হেলালুর রহমান, শিবসদন চক্রবর্তী ও সেলিনা পারভীন।

এছাড়া সঙ্গীতজ্ঞ আলতাফ মাহমুদ, সাহিত্যিক পূর্ণেন্দু দস্তিদার, মেহেরুন্নেসা, দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহাসহ আরও অসংখ্য গুণী মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

দিবসটি উপলক্ষে আজ রোববার সারাদিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
১৬ বার পড়া হয়েছে

আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আপডেট সময় ০১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের। শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকসহ বহু গুণী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা কিংবা গুম করা হয়।

বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে অনেক বুদ্ধিজীবীর নিথর দেহ পাওয়া যায়। তবে বহু শহীদ বুদ্ধিজীবীর মরদেহ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোতে ছিল ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন। গুলি, বেয়নেটের আঘাত, জবাইসহ নানা নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে তাদের হত্যা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্বজনরাও প্রিয়জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন এ এন এম মুনীর চৌধুরী, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. জিসি দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, এস এম রাশীদুল হাসান, ড. শাহাদাত আলী, ড. এম এ খায়ের, এ আর খান খাদিম, ড. এন এম ফয়জুল মাহী, ফজলুর রহমান খান, এ এন এম মুনীরুজ্জামান, ড. সিরাজুল হক খান, মো. সাদেক, শরাফত আলী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মীর আবদুল কাইয়ুম, হবিবর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও ড. আবুল কালাম আজাদ।

সাংবাদিক শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, শেখ আবদুল মান্নান (লাডু), সৈয়দ নজমুল হক, এম আখতার, আবুল বাসার, চিশতী হেলালুর রহমান, শিবসদন চক্রবর্তী ও সেলিনা পারভীন।

এছাড়া সঙ্গীতজ্ঞ আলতাফ মাহমুদ, সাহিত্যিক পূর্ণেন্দু দস্তিদার, মেহেরুন্নেসা, দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহাসহ আরও অসংখ্য গুণী মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

দিবসটি উপলক্ষে আজ রোববার সারাদিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।