আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, বাড়ছে দেশের বাজারেও
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য সোমবার (১৩ অক্টোবর) নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,০৭৮ ডলারে—যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগের দিনের তুলনায় এ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১.৫৮ শতাংশ।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকতে উৎসাহিত করেছে, ফলে বাজারে দামের এই রেকর্ড বৃদ্ধি দেখা গেছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আন্তর্জাতিক বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দেশের বাজারে ইতোমধ্যেই স্বর্ণের দাম আবারও সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন নির্ধারিত মূল্যে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম বেড়েছে ৪,৬১৮ টাকা, যা এখন দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায়—দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্য।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির কারণে নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে এই মূল্য বাজারে প্রযোজ্য হবে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মান অনুযায়ী মজুরিতে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।