ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আল হিলালে খেলা প্রতি মিনিটে নেইমারের আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

আল হিলালে খেলা প্রতি মিনিটে নেইমারের আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

দীর্ঘ ইনজুরির কারণে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আল হিলারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলো নেইমার জুনিয়রের। ৩২ বছর বয়সি এ ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে।

তার আগে সৌদি আরবের ক্লাবটিতে ১৮ মাসের যাত্রায় বিশাল অঙ্কের অর্থ পকেটে ঢুকিয়েছেন নেইমার। ২০২৩ সালের আগস্টে পিএসজি থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরো খরচে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সে সময় বছরে তার পারিশ্রমিক ধরা হয়েছিল ১০৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দুই বছরে সেখান থেকে তিনি পাওয়ার কথা ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার।

 

কিন্তু দীর্ঘ ইনজুরির কারণে মাঠে ঠিকঠাক প্রতিনিধিত্ব করতে না পারায়, তার সঙ্গে আগেভাগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আল হিলাল। আনুষ্ঠানিক সমঝোতায় বিচ্ছেদ হওয়ায় চুক্তির পুরো সময়ের টাকাও নিচ্ছেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। ফলে ১৮ মাসে তিনি পাচ্ছেন ১৫৬ মিলিয়ন ডলার।
 
১২১.৬০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৯৬ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা। নেইমার এই পুরো অর্থটা পেয়েছেন মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে। যেখানে মাঠে তিনি ছিলেন ৪২৮ মিনিট। অর্থাৎ আল হিলালের হয়ে মাঠে খেলে মিনিটপ্রতি তার আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা।
 
 
ম্যাচের হিসেবে তার আয় প্রায় ২৭১ কোটি টাকা। আল হিলারের হয়ে ৭ ম্যাচে ১ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে গোল অবদান ৪। সে হিসেবে গোল অবদানের জন্য তিনি আয় করেছেন ৪৭৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি।
 
২০২৩ সালের আগস্টে সৌদি লিগের দলবদলের রেকর্ড গড়ে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমার পর তৃতীয় সুপারস্টার হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের লিগটিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যোগ দেয়ার পর থেকেই ইনজুরিতে জর্জরিত ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় এসিএলের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যেই ইনজুরির কারণে পরের বছর অক্টোবর পর্যন্ত মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে।
 
গত বছর অক্টোবরে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। আল আইনের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামেন তিনি। কিন্তু পরের ম্যাচেই ফের ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তাতে দেড় বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ৭ ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি নেইমার।
 
 
এবার দেখার পালা নিজ দেশে, নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে গিয়ে পুরনো রূপে ফিরতে পারেন কি না নেইমার। ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে হলে তাকে যে ফের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

আল হিলালে খেলা প্রতি মিনিটে নেইমারের আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা

আপডেট সময় ১০:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

আল হিলালে খেলা প্রতি মিনিটে নেইমারের আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

দীর্ঘ ইনজুরির কারণে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আল হিলারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলো নেইমার জুনিয়রের। ৩২ বছর বয়সি এ ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে।

তার আগে সৌদি আরবের ক্লাবটিতে ১৮ মাসের যাত্রায় বিশাল অঙ্কের অর্থ পকেটে ঢুকিয়েছেন নেইমার। ২০২৩ সালের আগস্টে পিএসজি থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরো খরচে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সে সময় বছরে তার পারিশ্রমিক ধরা হয়েছিল ১০৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দুই বছরে সেখান থেকে তিনি পাওয়ার কথা ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার।

 

কিন্তু দীর্ঘ ইনজুরির কারণে মাঠে ঠিকঠাক প্রতিনিধিত্ব করতে না পারায়, তার সঙ্গে আগেভাগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আল হিলাল। আনুষ্ঠানিক সমঝোতায় বিচ্ছেদ হওয়ায় চুক্তির পুরো সময়ের টাকাও নিচ্ছেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। ফলে ১৮ মাসে তিনি পাচ্ছেন ১৫৬ মিলিয়ন ডলার।
 
১২১.৬০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৯৬ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা। নেইমার এই পুরো অর্থটা পেয়েছেন মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে। যেখানে মাঠে তিনি ছিলেন ৪২৮ মিনিট। অর্থাৎ আল হিলালের হয়ে মাঠে খেলে মিনিটপ্রতি তার আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা।
 
 
ম্যাচের হিসেবে তার আয় প্রায় ২৭১ কোটি টাকা। আল হিলারের হয়ে ৭ ম্যাচে ১ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে গোল অবদান ৪। সে হিসেবে গোল অবদানের জন্য তিনি আয় করেছেন ৪৭৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি।
 
২০২৩ সালের আগস্টে সৌদি লিগের দলবদলের রেকর্ড গড়ে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমার পর তৃতীয় সুপারস্টার হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের লিগটিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যোগ দেয়ার পর থেকেই ইনজুরিতে জর্জরিত ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় এসিএলের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যেই ইনজুরির কারণে পরের বছর অক্টোবর পর্যন্ত মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে।
 
গত বছর অক্টোবরে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। আল আইনের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামেন তিনি। কিন্তু পরের ম্যাচেই ফের ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তাতে দেড় বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ৭ ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি নেইমার।
 
 
এবার দেখার পালা নিজ দেশে, নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে গিয়ে পুরনো রূপে ফিরতে পারেন কি না নেইমার। ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে হলে তাকে যে ফের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।