ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান রিপোর্ট স্বাভাবিক, জানিয়েছে চিকিৎসক দল Logo এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ Logo রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে কেন্দ্রের কারণ দর্শানোর নোটিশ Logo ১৫ দিন ধরে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া, উদ্বেগে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ Logo আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে মোবাইল ব্যবসায়ীরা, সমাধানে বিটিআরসিতে আলোচনার চেষ্টা Logo সহজ গ্রুপ পেলেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্কালোনি Logo খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে জার্মান এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা আগমনের অনুমতি চাওয়া Logo কার্টুনিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: সারা হোসেন Logo দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নতুন করে সমন্বয়, ভরিতে কমলো ১ হাজার ৫০ টাকা Logo আইসিসির নভেম্বরের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় জায়গা পেলেন তাইজুল ইসলাম

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং দেশে নতুন রাজনৈতিক সমন্বয় তৈরির লক্ষ্য সামনে রেখে এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন যৌথভাবে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নতুন জোটের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব নেবেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “২৪–এর পর গত দেড় বছরে বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের হতাশার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে বিভিন্ন শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধার মুখে সংস্কারের পথ বারবার আটকে গেছে। তাই পরিবর্তন ও সংস্কারের পক্ষে থাকা এ তিন দল আজ ঐক্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঐক্য ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে।”

তিনি আরও জানান, এটি শুধু নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গঠিত জোট নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার কথায়, “আগামী নির্বাচনে আমরা একসঙ্গে এবং একই প্রতীকে অংশ নেবো। কেউ যদি মনে করে শক্তি প্রয়োগ বা ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে নির্বাচন জেতা যাবে, তারা সফল হবে না।”

অন্যদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, “অভ্যুত্থানের পর জনগণের অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তরুণদের হতাশার জায়গা তৈরি হয়েছে। নতুনদের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই বাস্তবতায় আমরা নতুন যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জুলাইয়ের অঙ্গীকার ধরে রেখে আমরা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছি।”

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “শুধু এ তিন দলই যে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বহন করে, এমনটা আমরা মনে করি না। পরিবর্তনের প্রতি যারা আন্তরিক, তাদের সবার জন্যই এই পথ খোলা। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান কতটা সফল হবে তা নির্ভর করছে সংস্কারের আন্দোলন কতটুকু বাস্তবে রূপ নেয় তার ওপর।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২৩ বার পড়া হয়েছে

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং দেশে নতুন রাজনৈতিক সমন্বয় তৈরির লক্ষ্য সামনে রেখে এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন যৌথভাবে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নতুন জোটের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব নেবেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “২৪–এর পর গত দেড় বছরে বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের হতাশার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে বিভিন্ন শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধার মুখে সংস্কারের পথ বারবার আটকে গেছে। তাই পরিবর্তন ও সংস্কারের পক্ষে থাকা এ তিন দল আজ ঐক্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঐক্য ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে।”

তিনি আরও জানান, এটি শুধু নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গঠিত জোট নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার কথায়, “আগামী নির্বাচনে আমরা একসঙ্গে এবং একই প্রতীকে অংশ নেবো। কেউ যদি মনে করে শক্তি প্রয়োগ বা ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে নির্বাচন জেতা যাবে, তারা সফল হবে না।”

অন্যদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, “অভ্যুত্থানের পর জনগণের অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তরুণদের হতাশার জায়গা তৈরি হয়েছে। নতুনদের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই বাস্তবতায় আমরা নতুন যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জুলাইয়ের অঙ্গীকার ধরে রেখে আমরা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছি।”

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “শুধু এ তিন দলই যে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বহন করে, এমনটা আমরা মনে করি না। পরিবর্তনের প্রতি যারা আন্তরিক, তাদের সবার জন্যই এই পথ খোলা। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান কতটা সফল হবে তা নির্ভর করছে সংস্কারের আন্দোলন কতটুকু বাস্তবে রূপ নেয় তার ওপর।”