ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ।

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও দুঃসংবাদ। চলতি বছরও বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে লাগাম টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন মতে, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করছে কানাডা সরকার। তারই অংশ হিসেবে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস করা হবে।

 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর ৪ লাখ ৩৭ হাজার স্টাডি পারমিট জারি করা হবে। যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
 
কানাডায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসন সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিটের ওপর একটি সীমারেখা টেনে দেয় দেশটি।
 
 
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভিবাসন স্তর হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।
 
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা। ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দেয় দেশটি। 
 
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।
 
অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।  অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।
 
 
বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনো একটি প্রদেশে প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

আপডেট সময় ১১:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ।

কানাডা গমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও দুঃসংবাদ। চলতি বছরও বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে লাগাম টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন মতে, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করছে কানাডা সরকার। তারই অংশ হিসেবে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস করা হবে।

 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর ৪ লাখ ৩৭ হাজার স্টাডি পারমিট জারি করা হবে। যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
 
কানাডায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসন সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিটের ওপর একটি সীমারেখা টেনে দেয় দেশটি।
 
 
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভিবাসন স্তর হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।
 
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা। ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দেয় দেশটি। 
 
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।
 
অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।  অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।
 
 
বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনো একটি প্রদেশে প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।