ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

কোভিড ভ্যাকসিন কি বন্ধ্যাত্ব ঘটায়?—বিজ্ঞানীরা যা জানালেন

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, এটি কি নারী বা পুরুষের সন্তান ধারণের ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে? ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে—ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে বন্ধ্যাত্ব বা প্রজনন সমস্যার কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও long-term গবেষণা এখনও চলছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

নারীদের প্রজননক্ষমতা সাধারণত গর্ভধারণের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে, আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এর প্রধান নির্ধারক হলো শুক্রাণুর সংখ্যা, গুণগত মান ও গতিশীলতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) এখন পর্যন্ত পাঁচটি কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে—COMIRNATY (ফাইজার-বায়োএনটেক), Pfizer, Moderna, SPIKEVAX ও NUVAXOVID।

নারীদের ফার্টিলিটিতে ভ্যাকসিনের নেতিবাচক প্রভাব আছে—এমন গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এগুলো সমর্থন করেনি। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন নারীর প্রজননক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে না। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ এম্ব্রিও টক্সিসিটি, জেনোটক্সিসিটি এবং হরমোনগত দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণার পরামর্শ দিয়েছেন।

পুরুষদের ক্ষেত্রে গবেষণা বলছে—কোভিড সংক্রমণ নিজেই সাময়িকভাবে শুক্রাণুর মান কমাতে পারে। সংক্রমণের পর প্রায় ৬০ দিন পর্যন্ত শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস পেতে পারে। তবে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রভাব পাওয়া যায়নি।

এআরটি (ART) বা প্রজনন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও ভ্যাকসিনের নেতিবাচক প্রভাব খুব স্পষ্ট নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম্বাশয় উদ্দীপনার আগেই ভ্যাকসিন নিলে আইভিএফ–এর ফ্রোজেন এম্ব্রিও ট্রান্সফারের সাফল্যের হার সামান্য কমতে পারে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী কি না, তা নির্ধারণে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে—যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রজনন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। পাশাপাশি, দম্পতিরা যদি ১২ মাসের চেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান নিতে সক্ষম না হন, তবে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৪৯ বার পড়া হয়েছে

কোভিড ভ্যাকসিন কি বন্ধ্যাত্ব ঘটায়?—বিজ্ঞানীরা যা জানালেন

আপডেট সময় ০৯:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, এটি কি নারী বা পুরুষের সন্তান ধারণের ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে? ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে—ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে বন্ধ্যাত্ব বা প্রজনন সমস্যার কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও long-term গবেষণা এখনও চলছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

নারীদের প্রজননক্ষমতা সাধারণত গর্ভধারণের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে, আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এর প্রধান নির্ধারক হলো শুক্রাণুর সংখ্যা, গুণগত মান ও গতিশীলতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) এখন পর্যন্ত পাঁচটি কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে—COMIRNATY (ফাইজার-বায়োএনটেক), Pfizer, Moderna, SPIKEVAX ও NUVAXOVID।

নারীদের ফার্টিলিটিতে ভ্যাকসিনের নেতিবাচক প্রভাব আছে—এমন গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এগুলো সমর্থন করেনি। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন নারীর প্রজননক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে না। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ এম্ব্রিও টক্সিসিটি, জেনোটক্সিসিটি এবং হরমোনগত দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণার পরামর্শ দিয়েছেন।

পুরুষদের ক্ষেত্রে গবেষণা বলছে—কোভিড সংক্রমণ নিজেই সাময়িকভাবে শুক্রাণুর মান কমাতে পারে। সংক্রমণের পর প্রায় ৬০ দিন পর্যন্ত শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস পেতে পারে। তবে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রভাব পাওয়া যায়নি।

এআরটি (ART) বা প্রজনন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও ভ্যাকসিনের নেতিবাচক প্রভাব খুব স্পষ্ট নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম্বাশয় উদ্দীপনার আগেই ভ্যাকসিন নিলে আইভিএফ–এর ফ্রোজেন এম্ব্রিও ট্রান্সফারের সাফল্যের হার সামান্য কমতে পারে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী কি না, তা নির্ধারণে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে—যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রজনন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। পাশাপাশি, দম্পতিরা যদি ১২ মাসের চেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান নিতে সক্ষম না হন, তবে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।